ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভিডিও দেখুন

এবার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

এবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা। এদিকে কুষ্টিয়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষককে।

গেল ৩ অক্টোবর উপজেলার ধারাবাসাইল গ্রামে একটি মাছের ঘেরের টংঘরে ধর্ষণের শিকার হন নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী।  

প্রাইভেট শেষে ফেরার পথে পূর্ণবতী গ্রামের আলী হোসাইন হাওলাদার ও একই গ্রামের মাসুদ হাওলাদার তাকে ভয় দেখিয়ে মাছের ঘেরে নিয়ে যায়। এরপর মারধোর করে ধর্ষণ করা হয়। ভিডিও চিত্র ধারণের পর তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

ভুক্তভোগী জানান, মাসুদ সেটা ভিডিও করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে। বলে যখন আসতে বলবো তখন যদি না আসো তাহলে এটা ভাইরাল করে দিব। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

ধর্ষক ও তার সহযোগীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তার আইনগত বিচার চাই।

দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানিয়েছে পুলিশ। 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জাকারিয়া বলেন, একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।

এদিকে কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৮ম শ্রেণীর আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান বলেন, পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে আমাদের কিছু অগ্রগতি আছে, এতে যারই নাম আসবে কেউ ছাড় পাবে না।

পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়ে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতো। ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু না জানাতে ওই ছাত্রীকে শাসিয়েও দেন মাদ্রাসা সুপার। তবে গেল রোববার মেয়েটির এক সহপাঠির মাধ্যমে ঘটনা জানাজানি হয়।

এক ছাত্রী জানান, এরকম পরিস্থিতি হলে আমরা মাদ্রাসায় পড়বো না। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা জানান, এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা চাই।

এই ঘটনায় মাদ্রাসা ঘেরাও করে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। ওই মাদ্রাসা সুপারের বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

এএইচ/এসএ/