ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

নবাবগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ০২:২৯ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের ৯৮নং দত্তখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণি কক্ষে ফাটল ধরেছে। বিদ্যালয়ের উঠানে পানি জমে পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭৪ সালে ৬৮ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ৮২ শতাংশের একটি খেলার মাঠও রয়েছে। বর্তমান বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিদ্যালয়ের দুটি ভবন রয়েছে। এতে প্রাক-প্রাথমিকসহ ৫টি শ্রেণি কক্ষ। একটি শিক্ষক মিলনায়তন ও একটি স্টোর রুম রয়েছে। বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে নামলেই পুকুর। হাটা চলার জায়গাটুকুও নেই শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ে একটি একতলা ভবন ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে নির্মিত। যাতে দুটি শ্রেণি কক্ষ প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি ও স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মূলত ভবনটির কলামসহ বিভিন্নস্থানে ফাটল ধরেছে। পলেস্তারাও খসে পড়েছে কিছুস্থানের। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করতে ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

অপর একতলা বিশিষ্ট ভবনটি ২০০২-০৩ অর্থবছরে নির্মিত হয়। সেটিও নাজুক অবস্থায়। এটির ৩টি শ্রেণিকক্ষ ও একটি শিক্ষক মিলনায়তন। বিদ্যালয়ের সুপেয় পানির উৎস নলকুপটিও নষ্ট হয়ে আছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়টি বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনায় বিদ্যালয় বন্ধ। স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে কি? এমন মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মিরাজ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পাশের মসজিদের মুসল্লিরা বিদ্যালয়ের উঠানের পানি মারিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ‘গ্রামের কাঁচা রাস্তা আর কাঁদাপানি মারিয়ে পায়ে হেটে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে হয়। এ অঞ্চলের কোমলমতি শিশুরা অনেক কষ্ট সহ্য করে লেখাপড়া করেন। তার ওপর ভবনের নাজুক অবস্থা। শিক্ষা অধিদপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশাবাদি।’

শোল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজীর আহম্মদ বলেন, ‘শোল্লা ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা এটি। নেই সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। অবহেলিত এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাও অবহেলিত। কালীগঙ্গায় বিচ্ছিন্ন জনপদটির শিক্ষার প্রসারে প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা জরুরি। যাতে সরকারের শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হয়।’ 

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। উঠানে পানি জমে পুকুরে পরিণত হয়েছে। আমরা লিখিতভাবে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেসমিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এআই//এমবি