ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃংখলা বাহিনীর যৌথ টহল

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দিনে দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ, ইয়াবা ব্যবসা ও ক্যাম্পভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের সৃষ্টি হচ্ছে। গত সপ্তাহজুড়ে উখিয়ার কুতুবপালং ক্যাম্পে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে ৮ রোহিঙ্গা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পে জোরদার করা হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর যৌথ টহল।

উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কুতুবপালং ও লম্বাশিয়া ক্যাম্পে দফায় দফায় সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।

সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছেন, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় অনেকেই অন্য ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পের দোকানপাট।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক সদস্য জানান, তারা মারধর করে এবং মাঝে মধ্যে গুলি ছোঁড়াছুড়ি করে। এখন ক্যাম্পে থাকাটাই কষ্টের।

চলমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্প পরিদর্শন করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। পরে তিনি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হবে।

ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ টহলে আছে, এখানে তাদেরই আধিপত্য থাকবে। যাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে তাদেরকে অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ প্রত্যাবাসন কার্যালয় জানিয়েছে, ক্যাম্পের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামসুদ্দোজা নয়ন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প একটা ঘনবসতি, যে কোন বিষয় উঠলে এদের মধ্যে দ্বিমত হতে পারে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, রিউমার ম্যানেজমেন্টটা কিভাবে করা যায়। ঘটনাস্থলে এপিবিএন-সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর যৌথ টহল জোরদার করা হয়েছে। 

এএইচ/এসি