ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাগেরহাটে ইলিশ বাজারে উপচেপড়া ভিড়, দামও চড়া

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

ইলিশ আহরণ ও বিপণন বন্ধের শেষ দিনে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের পাইকারি আড়ত কেবি বাজারে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ফজরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও জেলেদের ভিড়ে সরগরম ছিল কেবি বাজার। সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ইলিশ। 

পরিমাণ কম থাকলেও বিক্রি হচ্ছিল চড়া দামে। তবে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় জেলেদের মুখে তেমন হাসি ছিল না। এই সিজনে বেশিরভাগ ট্রলার মালিককেই লোকসান গুণতে হবে বলেই দাবি করেছেন অনেক জেলে।

এদিন সকাল ৮টার দিকে কেবি বাজারে দেখা যায়- কেজি মাপের মাছের পোন (৮০ পিস) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ৫‘শ থেকে ৬‘শ গ্রামের মাছের পোন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, ৭‘শ থেকে ৮‘শ গ্রামে মাছ ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২‘শ থেকে ৩‘শ গ্রাম ওজনের মাছও বিক্রি হয়েছে বাজারে। এসব মাছের পোন বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়।

ইলিশের বাইরে রুপচাঁদা, সাগরের বাইলা, লইট্যা, ঢেলা, চ্যালা, কঙ্কন, মেইদ, কইয়া ভোল, জাবা ভোল, জাবা, বউ মাছ, পোয়া, টোনাসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি হয়েছে প্রচুর। এসব মাছ আকার, আকৃতি ও চেহারা ভেদে ১‘শ ৫০ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে রুপচাঁদা সর্বনিম্ন ৫‘শ থেকে ৮‘শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এই ক্রয় বিক্রয় রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন কেবি বাজার ব্যবসায়ীরা।

সাগর থেকে মাছ ধরে আসা লতিফ, নজরুল, জাহিদসহ কয়েকজন জেলে বলেন- এ বছর ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার পরে প্রথম কিছুদিন মাছ বেশি পেয়েছি। তবে শেষদিকে আমরা বড় মাছ পেলেও, সংখ্যায় অনেক কম পেয়েছি। কাল (১৪ অক্টোবর) থেকে আমরা দীর্ঘ ২২দিন পর্যন্ত মাছ আহরণ করতে পারব না। এ সময়টা খুব কষ্টে যাবে আমাদের। কারণ এবার ট্রেলার মালিকরা লোকসানে পড়েছেন। যার ফলে এই সময়ে আমরা মহাজনের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাব না। আর সরকার ঘোষিত সহায়তা পাব কিনা তাও বলতে পারি না।

মাছ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা কেবি বাজার থেকে মাছ ক্রয় করে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। আজকে ইলিশ বিক্রির শেষ দিন। তারপরও বেশি দামে তিন পোনের মত মাছ কিনেছে। শেষদিন তো, অনেকেই মাছ ক্রয় করবেন। কিন্তু বাজার যদি ভাল না হয়, লসে পড়তে হবে।

উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, এ বছর মাছের সাইজ বড় থাকলেও সংখ্যায় কম ছিল। তাই জেলেরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা তেমন লাভবান হতে পারবে না। তবে গেল বছরের মতো শীতের মৌসুমে যদি সাগরে বেশি ইলিশ পাওয়া যায়, তাহলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা লোকসান পোষাতে পারবেন বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষার জন্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ ও বিপনন বন্ধ থাকবে।

এনএস/