ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় গো-খাদ্য সংকট (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য সংকট। বন্যায় চারনভুমি ডুবে ঘাস-তৃণলতা নষ্ট হওয়ায় সংকটে পড়েছেন গবাদী পশু পালনকারীরা। এদিকে, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। 

কুড়িগ্রামে ভারীবর্ষণ আর মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ দফা বন্যায় ডুবে গেছে জেলার কৃষি জমি এবং নিম্নাঞ্চল। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে ১ হাজার ১১৬ একর চারণ ভূমি। ফলে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য সংকট। 

স্থানীয়রা জানান, গরু-ছাগলের জন্য এক সের ভূষি কিনতে চলে যায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এতো খরচ করা সম্ভব না। তাই গাছের লতাপাতা খাওয়াতে হচ্ছে। 

পানি কমতে শুরু করলেও গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে দুর্ভোগে চরাঞ্চলের মানুষ। খড়ের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই গো-খাদ্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বাঁশের পাতা ও কচুরিপানা।

এদিকে রংপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খড় এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, এক গাড়ি খড় আনতে খরচ সব মিলিয়ে দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা চলে যায়।

দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জনপ্রতিনিধির। আর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান রহিম আহমেদ রিপন বলেন, ‘বন্যায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। গো-খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।’

অপরদিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু বরাদ্দ পেয়েছিলাম সেটা আমরা বিতরণ করেছি। 

এদিকে পাঁচ দফা বন্যায় চারনভুমি ডুবে ঘাস-লতা নষ্ট হওয়ায় সংকটে পড়েছেন গাইবান্ধার গবাদী পশু পালনকারীরা। 

এমন অবস্থায় গো-খাদ্যের যোগান দিতে হাঁস, মুরগী বিক্রি করছেন অনেকেই। 

এবিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘প্রায় ৮ হাজার খামারিদেরকে দানাদার খাবার দিতে সক্ষম হয়েছি।’

পশু সম্পদ রক্ষায় সরকারী পৃষ্টপোষকতার দাবি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাবাসীর।

এসএ/