ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১১ ১৪৩২

দেবী দুর্গার লাল রূপের পূজা (ভিডিও)

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলবার

প্রায় ৩শ’ বছর আগে মৌলভীবাজারের রাজনগরের পাঁচগাঁওয়ের পরম সাধক সর্বানন্দ দাশ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে আসামের কামরূপ কামাক্ষ্যায় ৫ বছরের এক শিশু কন্যাকে দেবী রূপে পূজা করেন। দূর্গা পূজার সময় তার শরীরের রং লালবর্ণ হয়ে যায়। এরপর নিজের বাড়িতে লাল রঙের প্রতিমা গড়ে শুরু করেন পূজার্চনা।

জনশ্রুতি রয়েছে, এই দেবীর কাছে কোন চাওয়াই অপূর্ণ থাকে না। এ প্রতিমার জাগ্রতরূপের কথা ছড়িয়ে পড়লে সমাগম ঘটে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের। কেউ মানত করেন শাখা সিঁদুর, কেউ মানত করেন শাড়ি। কেউ প্রজ্জ্বলন করেন মোমবাতি, কেউবা দেন পাঠা বলি। 

দুর্গোৎসবের সপ্তমী থেকে নবমী- ৩দিন বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে ইচ্ছা পূরণ করেন ভক্তরা। তবে করোনার কারণে এবার সংক্ষিপ্ত আকারে আয়োজন করা হয়েছে পূজা অর্চনার। 

জেলার সর্বাধিক প্রাচীনতম মন্দির হলেও এর তেমন কোন উন্নয়ন বা সংস্কার হয়নি। প্রতিবছর সাধক সর্বানন্দ দাশের ষষ্ঠ বংশধর সঞ্জয় দাশ এখন পূজার আয়োজন করেন। 

জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই পূজা প্রায় তিনশ’ বছর ধরে চলে আসছে। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছাড়া সবসময় এখানে দুর্গোৎসব হয়েছে।’ 

করোনার কারণে এবার বলি, প্রসাদ বিতরণ ও মেলা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। আর নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকছে প্রশাসনের নজরদারি।

হিন্দু-বোদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা মহিম দে বলেন, ‘প্রতিবছর পূজার সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও ভক্তরা আসেন এখানে। অনেকে মানত করেন, বলি দেন। শুধু করোনার কারণে এবারের দুর্গোৎসব সীমিত করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, ‘পূজার সময় যাতে স্বাস্থবিধি মানা থেকে শুরু করে নিরাপত্তা বিষয়টি নিশ্চিত থাকে, সে ব্যাপারে কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ বলেন, ‘পাঁচগাঁওসহ তিনটি পূজা মন্ডপে আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’

এআই//এমবি