ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

এসএমই খাতে আলাদা ব্যাংক চায় বিসিক (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:০৮ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা প্যাকেজের প্রায় পুরোটাই পেয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তারা। এ জন্য ব্যাংকগুলোর অনাগ্রহকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর সমস্যা সমাধানে এসএমই’র জন্য আলাদা ব্যাংক চায় বিসিক। তবে বিদ্যমান ব্যাংক-ব্যবস্থার মাধ্যমেই এ খাতে ঋণ-সুবিধা বাড়ানো সম্ভব বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে কৃষিসহ ছোট, বড়, মাঝারি সবশ্রেণীর উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্যোগ নেয় সরকার। দেয়া হয় ১৯টি প্যাকেজের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বৃহৎ শিল্প ও সেবা খাতের ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ৮২ শতাংশের বেশি ছাড় হয়েছে। তবে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও এখন পর্যন্ত এক-তৃতীয়াংশও পাননি ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তারা। অর্থছাড়ে এই ধীরগতিতে হতাশ ব্যবসায়ী নেতারা। 

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকা এসএমইদের জন্য, এর মধ্য থেকে ২০% ছাড় করা হয়েছে। কৃষিতে প্রণোদনার ছাড়ও খুবই দুর্বল। সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে ৫০-৫০ ম্যাচিং ফান্ড স্কিম করা হয়েছিল তারপরেও এ দুটি খাতে ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতা খুবই দুঃখজনক।

দেশে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি খাতে ৭৭ লাখের বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ৯৯ শতাংশই পরিচালিত হয় ব্যাক্তি উদ্যোগে। মোট কর্মসংস্থানের অর্ধেক এ খাতের দখলে। এমন তথ্য বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভলপমেন্ট- বিন্ডের। তবুও ঋণ সুবিধার বাইরে থাকেন এ খাতের ৬০ শতাংশের বেশি উদ্যোক্তা।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বলছে, এসএমইতে ঋণের প্রবাহ সহজ ও গতিশীল করতে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক জরুরি। 

বিসিক চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাক হাসান বলেন, এসএমই ব্যাংক আমাদের নীতিমলায় আছে। আমি যদি অনুমোদন পেয়ে যাই, তাহলে ব্যাংক পরিচালনা করার দক্ষতা আমার আছে। যেহেতু আমি মাইক্রো ক্রেডিট করি, প্রতিটি জেলায় আমার ক্রেডিট প্রোগ্রাম আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যমান ব্যাংক-ব্যবস্থাকেই এসএমইবান্ধব করা সম্ভব। 

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলোকে যদি মনিটরিং করতে পারি, ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদেরকে ঋণ দিয়ে তাদেরকে যদি বিশেষ সুবিধা দিতে পারি তাহলে সেটা সম্ভব। একটা বিশেষায়িত ব্যাংক করে আমি মনে করি যে, ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তা বিষয়টা এতো বেশি ভাস্ট, এতো বেশি বিভিন্ন ক্ষেত্র এটার সঙ্গে জড়িত, বিভিন্ন এলাকায় এরা জড়িত কাজেই সেখানে এটা ডিফিকাল্ট হবে।

সর্বাধিক কর্মসংস্থান ও ব্যক্তি-উদ্যোগ নির্ভর হওয়ায় এসএমই খাতের প্রতি বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

এএইচ/এমবি