ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:৫১ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ তথা সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী, পথচারী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, “সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা রোধ করতে পারব অনাকাঙ্খিত সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক নিরাপত্তাকল্পে সংশ্লিষ্ট সকলে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবেন-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।”

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে চতুর্থ বারের মতো ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য-মুজিববর্ষের শপথ, সড়ক করবো নিরাপদ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে পরিবহনখাতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অগ্রাধিকার নিরূপণ ব্যবস্থা জোরদার, বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে আন্তঃভারসাম্য রক্ষা, সময় সাশ্রয়ী বিদ্যুৎচালিত আরবান মাস ট্রানজিট/মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক চালু, পরিবহন সেবার মান নিশ্চিতকরণ, আধুনিক পরিবহন সুবিধাদির বাস্তবায়ন ইত্যাদি কৌশলকে এই রূপকল্পে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাজনিত জীবন ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মকান্ড জোরদার করা অপরিহার্য। এজন্য সরকার মহাসড়ক ৪ লেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীতকরণ, ফ্লাইওভার এবং ওভারপাস নির্মাণ, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দুর্ঘটনা প্রবণ স্থান চিহ্নিত করে এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এছাড়াও করিডোর উন্নয়নসহ ট্রাফিক সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপন, মহাসড়কের পাশে বিশ্রামাগার নির্মাণ, চালকদের প্রশিক্ষণসহ নানামুখী উদ্যোগ ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ঢাকা-আরিচা জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ বাঁক সরলীকরণ করা হয়েছে। সারা দেশের মহাসড়কে ১৪৪টি ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করে ১২১টি নিরসন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাকিস্তনি হানাদার বাহিনীর দ্বারা দেশের অধিকাংশ সড়ক অবকাঠামোসহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থাকে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার ও পুনঃনির্মাণ করে তিনি একটি শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক-মহাসড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও বাস্তবায়ন করে সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারের আমলে মহাসড়কের নেটওয়ার্ক ২১ হাজার ৩০২ দশমিক ৮ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। ৪৫৩.০৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে ও তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে। ১২০৯টি সেতু ও ৫৫৮১টি কালভার্ট নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ, ১৮টি ফ্লাইওভার/ওভারপাস ও ২৭টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।- বাসস

এসি