ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

হাওরকে বাঁচানো ছাড়া সুনামগঞ্জের অস্তিত্ব থাকবে না

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ১৪ মে ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ০১:২২ পিএম, ১৪ মে ২০১৭ রবিবার

হাওরকে বাঁচানো ছাড়া, অস্তিত্ব থাকবে না হাওরের রাজধানী সুনামগঞ্জের। পাশাপাশি রক্ষা হবে না, হাওরে ফসল এবং জীব বৈচিত্র্যও। এমন, বাস্তবতায় নাব্যতা হারানো পাহাড়ী নদী খনন এবং স্থায়ী উঁচু বাঁধ নির্মানের দাবি এ অঞ্চলের মানুষের। তবে, এসব কাজ যাতে আর কোন ক্রমইে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে না থাকে এবং বাঁধ নির্মাণে অভিযুক্ত সিন্ডিকেটের কেউ না পায়, সে দাবিও জানিয়েছেন তারা। প্রতিনিধি আব্দুস ছালামকে সাথে নিয়ে মুহাম্মদ নূরন নবী’র তিন পর্বের ধারাবাহিকের, আজ শেষ পর্ব।
ভারতের, মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি পাহাড়ের কোল ঘেষেই হাওর কন্যা সুনামগঞ্জের অবস্থান। সব মিলিয়ে পাঁচটি পাহাড়ি নদী বয়ে গেছে, এই জেলার উপর দিয়ে। কিন্তু, এই নদীগুলো উজানের ঢলে, ভেসে আসা বালিতে নব্যতা হারিয়েছে। পলি পরেছে, হাওরগুলোতেও।
ঠিক, একই সময় ঠিকমত সংস্কার না হওয়ায়, পলিতে ভরাট বিলগুলোতেও। পানি ধারনের সক্ষমতা এখন অবশিষ্ট নেই কারোরই।
এমন পরিস্থিতিতে নদীর নব্যতা ফিরিয়ে আনতে, ড্রেজিং এবং সেই মাঠি-বালু পুরোপুরি বাধ উচু করার বিকল্প নেই বলেই মত সংশ্লিস্টদের। তা না হলে, এই সমস্যা বছরের পর, বছর চলতেই থাকবে বলেও শংকা তাদের।
আর, প্রতিবছরই পাহাড়ি নদী দিয়ে আসা বালি দিয়ে যাতে নদী নব্যতা না হারায়, সে লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যেগেরও দাবী তাদের।
তবে, যে উদ্যেগই নেওয়া হোক না কেন, বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাক্তিদের কোন ভাবেই না রাখার দাবি জানিয়েছেন হাওর পাড়ের মানুষের। সরকারের প্রত্যক্ষ মনিটরিং যাতে নিশ্চিত করা হয়, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।