ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২০ শনিবার

এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষেই প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই পরীক্ষা অনলাইনেও হতে পারে আবার স্বশরীরেও হতে পারে। এইচএসসির ফল ঘোষণার পর পরই সিদ্ধান্ত জানাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এসএসসি ও এইচএসসির নম্বরের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রচলন থাকলেও করোনাকালেও পরীক্ষা থেকে সরে না আসার পক্ষে দেশের ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই এইচএসসির মূল্যায়ন হবে। আর এই ফল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরে। 

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এসএসসির ১০ শতাংশ, এইচএসসির ৩০ শতাংশ এবং ভর্তি পরীক্ষার ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে ফল নির্ধারণ করা হতো। তবে এবার করোনা মহামারিতে এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় থাকছে না ওই ৩০ শতাংশ। ফলে ভর্তি পরীক্ষার বিকল্পও কিছু নেই। 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মোহাম্মদ লুতফর রহমান বলেন, আশা করছি যে, লিখিত পরীক্ষাই হবে। যেখানে এসে স্বশরীরে পরীক্ষা হবে এটা সবারই ধারণা, তবে সিদ্ধান্ত ওখানেই হবে।

তাই করোনাকালেও নিয়ম ভেঙে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ভাবা হচ্ছে পদ্ধতি নিয়ে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপাচার্যবৃন্দরা সকলে মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আগামী সেসনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবে পরীক্ষার মাধ্যমে। সেটি অনলাইন পরীক্ষাও হতে পারে বা ফিজিক্যাল পরীক্ষা হতে পারে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, জেএসসি এবং এসএসসির নম্বরের ভিত্তিতে যেভাবে এইচএসসির রেজাল্ট হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষাটা ওই সিস্টেমে হবে না। আমরা পূর্ণ পরীক্ষা নিবো। 

গুচ্ছ বিভক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত এখনও অপরিবর্তিত। তবে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের তাগিদ আছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, যদি মনে হয় যে, না ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নিলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না বা অন্য কোন প্রশ্ন না আসে। সে বিষয়গুলো যদি সিক্যুড করা যায় তাহলে হয়তো ওই সফটওয়্যারে পরীক্ষা নেয়াও যেতে পারে। তবে এটা প্রাথমিক চিন্তা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এইচএসসির রেজাল্টটা হওয়ার পরবর্তিতে আমরা পরীক্ষার্থীদেরকে কিভাবে নেব এবং মূল্যায়নটা কিভাবে করবো সেটাই আলোচনায় থাকবে। তবে এটুকু আমরা বলি যে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করবো।

অনলাইনে পরীক্ষার ত্রুটি বিবেচনায় জেলাভিত্তিক কেন্দ্র নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।

ভিডিও-

 

এএইচ/