ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

করোনার মধ্যেও রপ্তানি খাতে বেড়েছে প্রবৃদ্ধি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের প্রধান গন্তব্য ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা। এসব অঞ্চলের অনেক দেশ এখন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলা করছে। ভারতসহ কিছু অপ্রচলিত বাজারেও বেড়েছে করোনার প্রকোপ। তবে এমন পরিস্থিতিতেও রপ্তানিতে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি দেখছে বাংলাদেশ। আর এতে স্বস্তিতে রপ্তানিকারকরা। 

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রপ্তানি বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে সরকারের দেয়া আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ। আর তৈরি পোশাকসহ বেশকিছু পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। 

জানতে চাইলে মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, ‘আমাদের প্রবৃদ্ধি এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের পর থেকে মাইনাসে যায়নি। বরং এ সময় পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ৯৮৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশকিক ৪৫ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। 

রপ্তানিতে একক আধিপত্য তৈরি পোশাক খাতের। প্রথম প্রান্তিকে ৮১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে এ খাত থেকে। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। তবে নিটওয়্যারে বড় প্রবৃদ্ধি হলেও ওভেন পোশাকে রপ্তানি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। 

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ’র  পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বলেন, ‘পণ্যের গ্রোথ হচ্ছে। বলা চলে আগের চেয়ে আমরা অনেকটা ভাল পর্যায়ে আছি।’

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য, হস্তশিল্প সামগ্রি, চামড়ার জুতা, হিমায়িত মাছ, হোম টেক্সটাইল, কৃষি ও প্রকৌশল পণ্য এবং রাসায়নিক দ্রব্য রপ্তানিতে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তৈরি পোশাকের বাইরে এসব পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি খুবই ইতিবাচক।

এ ব্যাপারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন,  ‘চলমান এই প্রবৃদ্ধি যদি আমরা আগামীতে ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের তৈরি পোশাকের বাহিরে নতুন নতুন খাতে রপ্তানি বৃদ্ধির যে সুযোগের কথা আমরা বলি সেসকল সুযোগ আমরা এই সমস্ত পণ্যের মাধ্যমে আগামী দিনে দেখতে পেতে পারি।’

এদিকে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে প্লাস্টিক, সিরামিক পণ্য, চামড়া, ভবন নির্মাণ সামগ্রি, আসবাবপত্র, টেরি টাওয়েল, বিশেষায়িত টেক্সাটাইল পণ্যের রপ্তানি খানিকটা কমেছে। 
  
বাংলাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রেতা দেশগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে রপ্তানি-বাণিজ্য আরও গতিশীল হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।  

এআই/এমবি