ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শহীদ মিনারে হায়দার আনোয়ার খান জুনোর শেষ বিদায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠক হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মরদেহ আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। এসময় বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ফুল দিয়ে এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শোকবইয়ে স্বাক্ষর করে বিদায়বার্তা জানান।

গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের ব্যবস্থাপনায় জুনোর প্রতি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লালটু বলেন, হায়দার আনোয়ার খান জুনো বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে পরিচালিত সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে সংগঠিত করেছেন । তিনি ছিলেন এই সকল আন্দোলনের অভিভাবক তুল্য। তাঁর এই মৃত্যুতে এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শ্রদ্ধা জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন গণসাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সহ সভাপতি এস এম কামালউদ্দিন।

সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রয়াত এই মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ জানানো হয়। এরপর বেলা দু'টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। হায়দার আনোয়ার খান জুনো গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্ম নেওয়া হায়দার আনোয়ারের পৈতৃক বাড়ি নড়াইল জেলায়৷

শ্রদ্ধানুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস মুঠোফোনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, হায়দার আনোয়ার খান জুনো আমাদের পার্টির অকৃত্রিম বন্ধু ছিল। তিনি অনেকবার সাংস্কৃতিক দল নিয়ে ত্রিপুরা এসেছেন। আমরাও তাঁর আমন্ত্রণে বাংলাদেশে গেছি। তাঁর এই মৃত্যু আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক শূন্যতা সৃষ্টি করল।

মুঠোফোনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, হায়দার আনোয়ার খান জুনো সাংস্কৃতিক আন্দোলনে ছিল, যা রাজনৈতিক আন্দোলনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁর দেখানো পথে আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।

শ্রদ্ধা জানাতে এসে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু শোকবইয়ে লিখেছেন, শোষিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের আমৃত্যু যোদ্ধা জুনো ভাইয়ের মৃত্যুতে প্রগতিশীল আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁর সরলতা, কর্মনিষ্ঠা ও দৃঢ়তা আমাদের আজীবন অনুপ্রেরণা যোগাবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, হায়দার আনোয়ার খান জুনো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা৷ তিনি দেশের অভ্যন্তরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন৷ তাঁর মতো মানুষদের স্মরণসভা নিয়মিত করতে হবে৷ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জুনো ভাই সারাজীবন শোষণহীন সমাজ নির্মাণের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আমার প্রিয় একজন নেতা ছিলেন। তাঁর অভাবে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হবার নয়।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লিখেছেন, কমরেড জুনো লাল সালাম। মুক্তিযুদ্ধে মুক্ত এলাকা গঠনের জন্যে দেশের মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।

উদীচীর সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান শোকবইয়ে লেখেন,জুনো ভাই ছিলেন এদেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। জুনো ভাইয়ের মৃত্যুতে এদেশের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সমগীতের সভাপতি অমল আকাশ লিখেছেন, আপনাকে অনেক

আরকে//