ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

ইসলামী ব্যাংক নোয়াখালী জোনের শরী‘আহ্ পরিপালন ওয়েবিনার 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ২ নভেম্বর ২০২০ সোমবার

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নোয়াখালী জোনের উদ্যোগে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরী‘আহ্ পরিপালন’ শীর্ষক ওয়েবিনার ৩১ অক্টোবর ২০২০, শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মো. মাহবুব উল আলম। ওয়েবিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের শরী‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী ছাঈদ আহমদ। নোয়াখালী জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমান এর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা। ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।

প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, শরী‘আহ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মেরুদণ্ড। ব্যাংকিং কার্যক্রমে পেশাদারিত্বের পাশাপাশি নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত জীবনের সকল স্তরে শরী‘আহ পরিপালনের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্দেশ্য সাধিত হয়। মানবজীবনের সকল ঈন্দ্রিয় কাজে লাগিয়ে সামাজিক বিধিবিধান, ধর্মীয় অনুশাসন, সহনশীলতা, নীতির বাস্তবায়ন, নীতিসিদ্ধ ধারণা প্রণয়ন, শরী‘আহর নীতি, প্রক্রিয়া ও মানদন্ড স্বতস্ফুর্তভাবে অনুসরণ এবং অনুকরণের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং পূর্ণতা পায়। আনুষ্ঠানিকতা ও উদারনীতি পরিহার করে শরী‘আহ পরিপালনের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার সাথে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগ দেন। এবং সেখানে মুসলিম দেশসমূহের আন্তর্জাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশ সহ বিশ্ব ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখে গেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। তিনি বলেন, ইসলামী শরী‘আহ সকল সমস্যা সমাধানের উৎস। মানবতার সেবা, উন্নত জীবন ও মর্যাদার জন্য ইসলামী শরী‘আহ ও ইসলামী ব্যাংকিং অত্যন্ত জরুরী। দেশের ২৫ শতাংশ ব্যাংকিং ইসলামী ব্যাংকিং এর আওতায় পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনায় শরী‘আহর নীতি ও প্রচলিত আইন দুটোই পরিপালিত হয়। ইসলামী ব্যাংকিং যথাযথ পরিচালনা করতে ব্যাংকার, গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জীবনাচরণ ও পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ, কল্যাণকামিতা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পরিপালন সংস্কৃতি লালন করার জন্য আহবান জানান তিনি। 

মো. মাহবুব উল আলম বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং একটি সার্বজনীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য কল্যাণমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে সফলতার স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সততা ও শরীআহর নীতি অবলম্বন, কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও আধুনিকপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ সেবার ফলেই ইসলামী ব্যাংক শ্রেষ্ঠত্বের এই অবস্থানে পৌঁছেছে।

আরকে//