1. প্রচ্ছদ
2. সচেতনতা

এমন অনেকে আছে যারা মাছের কাঁটা ঠিকমো বেছে খেতে পারেন না বলে মাছই খান না। আবার এমন বাঙালি বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল যাদের  খেতে বসে গলায় মাছের কাঁটা ফোটেনি ।  খেতে বসে অনেক কথা বলেন। কেউ আবার খুব তাড়াহুড়ো করে খান। আর সেই অসাবধানতা থেকেই মাছের কাঁটা গলায় ফুটে যায়। তারপরই শুরু হয় যত বিপত্তি। গলার মধ্যে শুরু হয় অস্বস্তি। খচখচ করে কাঁটা।চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে নিমেষে এই অস্বস্তি কাটানো যায়।

কোক :

কোক জাতীয় পানীয় থাকলে এধরনের অস্বস্তি পড়ার সাথে সাথে একটু খেয়ে নিনি। এটি কাঁটা নামানোর সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে এক নি:শ্বাসে যতটা সম্ভব কোক খেয়ে নিন। এতে কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।

অলিভ অয়েল :

তেল হলো পিছল পদার্থ। আর অলিভ অয়েল কাঁচা খেলেও ক্ষতি নেই। তাই বাড়িতে যদি অলিভ অয়েল থাকে খেয়ে নিন এক চামচ। এতে গলায় আঁটকে থাকা কাঁটা পিছলে গলা থেকে নেমে যাবে।

পাতি লেবু :

মাছের কাঁটা নিমেষে নরম করে তুলতে পারে পাতি লেবু। তাই গলায় কাঁটা ফুটলে আগে একটা লেবু কাটুন। নুনে মাখিয়ে রস খেয়ে নিন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে গলা দিয়ে।

সাদা ভাত :

সাদা শুকনো ভাতের ছোটো ছোটো বল বানিয়ে চটপট পানি দিয়ে গিলে ফেলতে হবে। মনে রাখবেন, শুধু শুধু সাদা ভাত খেলে কিন্তু গলায় আটকে থাকা জেদি কাঁটা নামাতে পারবেন না।

ভিনিগার :

গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা নামাতে দারুণ কাজ দেয় ভিনিগার। পানির সঙ্গে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে খেলে আটকে থাকা কাঁটা খুব সহজে নেমে যায়। অনেকটা পাতি লেবুর মতো কাজ করে।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ :

বাড়িতে এক শিশি সাইলেশিয়া রাখুন। এই হোমিওপ্যাথি বড়ি গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা, বিশেষ করে কই মাছের খতরনাক কাঁটা গলিয়ে যন্ত্রণামুক্ত করতে পারে আপনাকে।

কলা:

কলা পিচ্ছিল জাতীয় ফল। তাই গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে আগেই একটা কলা খেয়ে নিন। কখন গলা থেকে কাঁটা নেমে যাবে টেরই পাবেন না।

পানি :

উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানই যদি হাতের কাছে না থাকে, তাহলে অনেক পরিমাণ পানি খেয়েই গলা থেকে কাঁটা নামাতে হবে আপনাকে। ভালো হয় যদি, হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে খান। তাতে কাঁটা নরম হয়ে তাড়াতাড়ি গলা থেকে নেমে যাবে। আপনিও তাড়াতাড়ি কাঁটা ফোটার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন।