ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মেডিটেশনের উপকারিতা

প্রকাশিত : ০১:৫১ পিএম, ১৭ মে ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ২২ মে ২০১৭ সোমবার

‘সুস্থ্য দেহ সুন্দর মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন।’ এমন জীবন আমাদের সবারই কাম্য। আমরা আমাদের কর্মের মাধ্যমেই আমাদের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলতে পারি। পারি সুন্দর পৃথিবী গড়তে। এক্ষেত্রে একজন মানুষ নিয়মিত মেডিটেশন করলে জীবনে বা চেতনাজগতে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেই মেডিটেশন করলে দেহ, মন ও জীবনের কোন ধরনের পরিবর্তনগুলো ঘটে থাকে।

১. সচেতনভাবে দেহ এবং স্নায়ুর শিথিলায়ন

ঘুমের সময় একজন মানুষের দেহ ও স্নায়ু শিথিল হলে তার চেতনাও তখন হয়ে পড়ে অচেতন। কিন্তু মেডিটেশনে আমাদের দেহ ও স্নায়ু যেমন শিথিল হয়, তেমনি চেতনাও থাকে সজাগ। ফলে সচেতন মন তখন অবচেতন মনকে যথাযথ নির্দেশ প্রদান করতে ও সৃজনশীলভাবে কাজে লাগাতে পারে।

২. মনকে বর্তমানে নিয়ে আসা

আমাদের মন হয় অতীত নিয়ে অনুশোচনা করে, না হয় ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তা করে, বর্তমানে থাকতে চায় না। মেডিটেশন মনকে বর্তমানে নিয়ে আসে। ফলে দুশ্চিন্তা বা আশঙ্কায় সময় নষ্ট না করে মনের শক্তি নিয়োজিত হয় দেহের স্বাস্থ্য উদ্ধারে, সৃজনশীলতার বিকাশে, চেতনার অভ্রভেদী বিস্তারে।

৩. মনোযোগায়ন

মনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো মনোযোগ। আর মনোযোগায়ন হলো একটি বিষয়ের উপর মনকে নিবদ্ধ করা। ক্রমাগত মেডিটেশনের মধ্য দিয়েই একজন মানুষ অর্জন করে মনকে সূচাগ্র করার এই শক্তি অর্জন করতে।

৪. ব্রেনকে বেশি পরিমাণে ব্যবহার

মানবদেহের সবচেয়ে জটিল, রহস্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ব্রেন বা মস্তিষ্ক। ব্রেনই মানুষকে প্রথম পাথরের অস্ত্র তৈরি করতে শিখিয়েছে। আর সেই ব্রেনের জেনেটিক উত্তরসূরীরাই বানিয়েছে মহাশূন্য যান। মানুষ অতীতে যা করেছে, ভবিষ্যতে যা করবে তা এই ব্রেনেরই ফসল। ব্রেনই মানুষকে মানুষ বানিয়েছে। এই ব্রেনকে বেশ পরিমাণে কাজে লাগাবার জন্যে যে সুসংহত মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন তা গঠনেই সাহায্য করে মেডিটেশন।

৫. আত্ম-নিমগ্নতা

মেডিটেশন মানে একজন মানুষের নিজের গভীরে নিমগ্ন হওয়া এবং অন্তরতম আমি-র সাথে সংযুক্ত হওয়া। তখনই একজন মানুষের অনুভবের দরজা খুলে যায় এবং সে নতুন সত্যকে অনুভব করতে পারে।

 সূত্র: কোয়ান্টাম মেথড।