ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার রাবি সাংবাদিক বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৩ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

পাঁচ বছর পূর্বে আবাসিক হলে সিট বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মানিক রায়হান বাপ্পীকে অনতিবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। 

আজ বিকাল ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, রাজশাহীর স্থানীয় সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলীসহ ৮ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি সালমান শাকিল, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বিপ্লব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রহমান,সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম। রাবি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকরাম হোসাইন, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি সুজন আলী প্রমুখ।

তথ্যপ্রযুক্তি আইন গোটা সাংবাদিক মহলের জন্য হুমকি সরূপ মনে করে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা বলেন, মূলত অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টা থেকে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের হয়রানি করাই এ মামলার উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরিসরে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি হয়রানির শিকার হতে হয় তবে, অন্যান্য ক্যাম্পাসগুলোতেও সাংবাদিকতার পথ আরো সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সবসময়ই সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। কোন সাংবাদিক শিক্ষকদের স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিলেই তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে উনারা উঠেপড়ে লাগেন।

বক্তারা আরো বলেন, শুরু থেকেই আমরা আইনের বিরোধিতা করে আসছি। ধারায় অপরাধ ও আইনের সামঞ্জস্যতা নেই। আমরা চাই অবিলম্বে সাংবাদিকদের হয়রানিমূলক এই আইন বাতিল করা হোক। দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি একই সাথে গ্রেপ্তার মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, রাবির আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে হলে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৫ সালে ২৪ অক্টোবর যুগান্তরসহ ১৬টি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন আবাসিক শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান।

সে সময়ে বাপ্পী ২৪বিডিটাইম ডটকম নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মামলার এজহারে তার নামও উল্লেখ করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ আরও সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, মতিহার থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোমিন।
কেআই//