ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

সিংহাসন ছেড়ে সৈকতকর্মীর হাত ধরলেন জাপানি তরুণী

প্রকাশিত : ০৫:২৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ০৫:২৭ পিএম, ১৭ মে ২০১৭ বুধবার

প্রিন্সেস ম্যাকো, জাপানের সম্রাট আকিহিতোর নাতনী। সিংহাসনের মায়া ছেড়ে ২৫ বছর বয়সী প্রেমিক সৈকতকর্মী কেই কুমিউরোকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুমিউরোকে বিয়ে করার জন্য সব রাজকীয় সুবিধা ত্যাগ করতে রাজি ম্যাকো।

কেই একাধারে স্কি খেলোয়াড়, বেহালা বাদক এবং রান্নায়ও পারদর্শী। আর এতোসব গুণের কারণেই তিনি প্রিন্সেসের হৃদয় জয় করতে পেরেছেন। তারা উভয়েই টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

জাপানের রীতি অনুযায়ী, বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করার পর থেকেই রাজকীয় সুবিধা হারিয়ে একজন সাধারণ তরুণীতে পরিণত হন প্রিন্সেস। আর বিদ্যমান রীতি অনুযায়ী জাপানের তরুণীদের সিংহাসন ত্যাগ অত্যন্ত কঠিন কাজ।

পাঁচ বছর আগে একটি রেস্টুরেন্টে বিদেশে পড়াশোনার ব্যাপারে আয়োজিত এক সেমিনারে তাদের পরিচয় হয়। এরপর তারা টোকিওতে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিয়ের কয়েকমাস আগে থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। তারা প্রতিনিয়ত একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

কুমিউরো কানাগাওয়ায় অবস্থিত শোনান সৈকতে পর্যটকদের আর্কষণ করতে এবং ওই এলাকার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছেন। সে কারণে ইতোমধ্যে তিনি ‘প্রিন্স অব দ্য সী’ খেতাব পেয়েছেন।

ম্যাকোর বাবা এবং তার ছোট ভাই ইতোমধ্যে সম্রাট আকিহিতোর উত্তরসূরী নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তার চাচা নারুহিতো জাপানের যুবরাজ। 

বর-কনে রাজি হলেও জাপানের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে বেশ সময় লাগবে। সর্বপ্রথম তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে, তারপর বাগদান সম্পন্ন করতে হবে এবং এরপর সম্রাটকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ম্যাকো ইতোমধ্যে কুমিউরোকে তার পিতামাতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এবং তারা তাকে গ্রহণ করেছেন। সূত্র : ডেইলী মেইল।