ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ভিডিও দেখুন

রেললাইনের আধুনিকায়ন না হলে ফিরবে না গতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে দ্রুত গতির ইঞ্জিন ও কোচ। তবে রেললাইনের আধুনিকায়ন ছাড়া ট্রেনের গতি বাড়বে না বলে মনে করছেন প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। তারা বলছেন, রেলের বরাদ্দ বাড়লেও যথাযথ ট্র্যাক নির্মাণ করা না হলে ভেস্তে যেতে পারে সকল আয়োজন। 

সর্বোচ্চ গতির ট্রেন চলাচল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে। এই গতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলেমিটার। গড় গতি ৬৮ কিলোমিটার। নতুন ইঞ্জিন ও কোচ যুক্ত হওয়ার পরও সেবার পরিধি বাড়ছে না ট্রেনের গতির কারণে।  

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র কৌশল প্রকৌশলী ফকির মো. মহিউদ্দিন বলেন, আমার ইঞ্জিন ও কোচ দুটোই ১২০ কিলোমিটারে আছে কিন্তু আমার ট্রাক আছে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটারের। তা আবার সব জায়গাতে নেই। কাজেই আমি যদি বলি গতি বাড়বে, সেটা কোন তথ্যের ভিত্তিতে বলবো।

গতি ধীর হওয়ার কারণ পুরাতন রেললাইন। তাই রেললাইন আধুনিক করার দাবি শ্রমিক নেতাদের।

বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সরকার বাজেট দিয়েছে, সেটা করার মতো তারা সে অবস্থায় আছে। তাই গতি বাড়ানোর জন্য রেললাইনের আধুনিকীকরণ করা প্রয়োজন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ডবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। তারপরও নতুন লাইনে ট্রেনের গতি না বাড়ানো যায়নি। এখন চলছে ডুয়েল গেজ স্থাপনের কাজ। এতেও ট্রেনের গতি বাড়বে না বলে মনে করেন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এখানে কিন্তু গতি কোনভাবেই বাড়ছে না। বরং কোন কোন ট্রেনের ক্ষেত্রে গতি আগের চেয়ে কমে আসছে। ফলে যাত্রীদের কাঙ্খিত সেবা সেটা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমি মনে করি, বিষয়টি সরকারের গভীরভাবে ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

দেশে ১২০ কিলোমিটার গতির ইঞ্জিন ও কোচ আসছে। প্রচলিত রেললাইনে গড় গতি ৭০ কিলোমিটারের নিচে আটকে আছে। এমন পরিস্থিতিতে কাঙ্খিত সেবা দেয়া সম্ভব হবে না বলে মত সকলের। 

এএইচ/এসএ/