ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু: আজ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার  যমুনা নদীর উপরে রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।  সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজ বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

এর আগে শনিবার (২৮ নভেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান। 

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ইতোমধ্যে সেতুর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে এবং মূল নির্মাণ কাজ আজ থেকে শুরু হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্মাণ কাজের ইয়ার্ড এবং নিয়োগকর্তা-প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য স্থাপনা উন্নয়ন দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। মূল সেতু দুটি প্যাকেজের অধীনে নির্মিত হবে। পূর্ব ও পশ্চিম অংশের নকশা ও অবকাঠামো কাজের জন্য যথাক্রমে ওবায়াশি-টোয়া জেএফই, জাপান এবং আইএইচআই-এসএমসিসি জেভি, জাপান- এর সঙ্গে দুটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তি অনুসারে চলতি বছরের জুলাইয়ে উভয় ঠিকাদারের কাছে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। নতুন সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ লাইনটিতে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে রেল চলতে সক্ষম হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হলে ৮৮টি রেল চলাচল করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারদের স্থানীয় কর্মীরা এখন নির্মাণের জায়গাটি প্রস্তুত করছেন, সাইটটিকে বেড়া দেয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের আবাসন সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি ভূমি-সংক্রান্ত বিরোধ ইতোমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে।

৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে এবং ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে। এই ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্র্যাক সেতুটি দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু হবে।

সেতুটি রাজধানী ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অধিক সংখ্যক রেল চলাচলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এটি রেলের যাতায়তের বিলম্ব কমাতেও সহায়তা করবে, যা এখন প্রতিনিয়তই হচ্ছে।

২০১৪ সালের ২৫ থেকে ২৮ মে টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাতকালে জাপানকে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। পরে, ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঢাকা সফরে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি উত্থাপন করেন।

এআই//