ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে কিউইদের সিরিজ জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

শতক উদযাপনে গ্লেন ফিলিপস।

শতক উদযাপনে গ্লেন ফিলিপস।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গ্লেন ফিলিপসের তাণ্ডুবে শতকের পর কাইল জেমিসন ও লকি ফার্গুসনের পেস তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলো নিউজিল্যান্ড। 

আজ রোববার মাউন্ট মাউনগানুইয়ে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে স্বাগতিকদের পক্ষে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন ফিলিপস। এছাড়া ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়েও।

এই দুজনের ব্যাটে ভর করে ২৩৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় কিউইরা। জবাবে দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে উইন্ডিজ। সফরকারীদের পক্ষে কেবল অধিনায়ক পোলার্ড ছোট ক্যামিও দেখাতে সক্ষম হন। বাকি সবাই ব্যর্থ হন। পোলার্ডের ১৫ বলে ২৮ রানের ছোট্ট ঝড় কেবল হারের ব্যবধানে কমিয়েছে, পরাজয় এড়াতে পারেনি। এছাড়া ১৮ বলে ২৬ রান করেন কিমো পল।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেন কাইল জেমিসন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় শিকার করেন ২টি উইকেট। এছাড়া ৪১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। অধিনায়ক টিম সাউদি একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৯ রান। তবে আগের ম্যাচের নায়ক ফার্গুসন এদিনও দেখান নিজের কারিশমা। একটি মাত্র উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন মাত্র ২২টি।

যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান। ফলে ৭২ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে গেল নিউজিল্যান্ড।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৮ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। দলটির উদ্বোধনী জুটিতে ৪৯ রান তোলেন মার্টিল গাপটিল ও টিম সেইফার্ট। ১৩ বলে ১৮ রান করা সেইফার্টকে বোল্ড করেন ওশানে থমাস। পরের ওভারেই গাপটিলকে ফিরিয়ে দেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। গাপটিল করেন ২৩ বলে ৩৪ রান।

তবে তৃতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়েকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমত সাইক্লোন বইয়ে দেন গ্লেন ফিলিপস। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন ফিলিপস ও তাকে সঙ্গ দেয়া ডেভন। ধীরে শুরু করলেও ডেভনও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন পরবর্তীতে। অন্য প্রান্তে শতক তুলে নেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম শতকের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই যুবক।

মাত্র ২২ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পরে ৪৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ফিলিপস। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি আগে ছিল কলিন মুনরোর দখলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই বে ওভালেই ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুনরো।

ফিলিপসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডেভনও অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৩১ বলে। তিনি অপরাজিত থাকেন ৬৫  রানে। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায়। অন্যদিকে, ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে কাইরন পোলার্ডের শিকারে পরিণত হন শতক হাঁকানো ফিলিপস। ফেরার আগে তিনি করেন ৫১ বলে ১০৮ রান। তার টর্নেডো ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার ও ৮টি ছক্কায়। যার সৌজন্যে ম্যাচ সেরা হন তিনি।

এনএস/