ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৫ জানুয়ারি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৮:১২ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রবিবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ঢাবি’র এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে ‘অশালীন মন্তব্য’ করায় তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়।

রোববার (২৯ নভেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সাম জগলুল হোসেন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন।

এর আগে ১৪ অক্টোবর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সাম জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করা হয়। ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে করা মামলার বাদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১ ধারায় নুরের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১২ অক্টোবর নুর তার ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি মামলার বাদিকে ‘দুশ্চরিত্রাহীন’ বলেন। ভিডিওতে তিনি আরও বলেন, ‘ছি! আমরা ধিক্কার জানাই এত নাটক যে করছে সে দুশ্চরিত্রাহীন। এই ধরনের মন্তব্য বাদির জন্য অপমানজনক ও মানহানিকর।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগেও তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা শেষে রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এরপর গত ৮ অক্টোবর নুর ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন ওই ছাত্রী।

এসি