ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে আরও ৮ বাংলাদেশি 

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:০১ এএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে ভারতে পাচার হওয়া এক শিশুসহ ৮ বাংলাদেশি নারীকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।  সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। দুই বছর পর্যন্ত ভারতে জেল খেটেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।

ফেরত আসারা হলেন, খাগড়াছড়ি জেলার আব্দুল বাতেনের মেয়ে হাজরা খাতুন, যশোরের মনিরামপুর থানার আব্দুর রহমানের মেয়ে সালমা খাতুন, নারাণগঞ্জের আব্দুল আজিজের মেয়ে সেলিনা বেগম, যশোরের বেনাপোলের আয়ুব আলীর মেয়ে হাজিরা খাতুন, একই জেলার শেখহাটির শওকত আলী বিশ্বাসের মেয়ে মাজেদা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা জেলার রতন মন্ডলের মেয়ে রুশিয়া মন্ডল, পটুয়াখালীর হাকিম হাওলাদারের মেয়ে রেখা বেগম ও মাগুরা জেলার তরফ বিশ্বাসের মেয়ে রিয়া বিশ্বাস (৮)। এদের ৭ জনের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব সাংবাদিকদের জানান, ‘ফেরত আসা শিশুসহ আট বাংলাদেশিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘থানার কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদেরকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দুটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করেছে। পরবর্তীতে এনজিও সংস্থাগুলো তাদের পরিবারে কাছে হস্তান্তর করবে বলে তিনি জানান।’

ভারত থেকে ফেরত আসা নারীদের বেনাপোল থানা থেকে গ্রহণকারী যশোর রাইটসের তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুর জানান, ‘ভুক্তভোগী নারীরা ভালো কাজের আশায় বিভিন্ন সময় দালালের প্রলোভনে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। পরে এরা ভারতের মুম্বাই শহরে পুলিশের হাতে আটক হয়। পরবর্তীতে ভারতের মুম্বাই রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে দুই বছর নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে এদেরকে ট্রাভেল পারমিটে আজ (সোমবার) বিকেলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘থানার আনুষ্ঠানিকতা প্রথমে শেল্টার হোমে পরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এআই/এসএ/