ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিজয়ের ৪৯ বছর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪২ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

শুরু হলো বিজয়ের মাস। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর মুখে দাঁড়িয়ে বাঙালি উদযাপন করছে বিজয়ের ৪৯ বছর। মূলত: একাত্তরের ডিসেম্বরেই স্পষ্ট হয়ে যায় সব কিছু। বিজয়ের মধ্য দিয়েই বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের পরিণতি, লাল-সবুজের বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়।

ব্রিটিশ শাসনতো বটেই, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম থেকেই বঞ্চনার ইতিহাস। সেই থেকেই শুরু বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। 
দীর্ঘ বঞ্চনায় দেয়ালে পিট ঠেকা বাঙালিকে মুক্তির দিশা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনের পর দিন মিছিল, স্লোগান আর নানা দাবি গিয়ে ঠেকে মুক্তির দাবিতে, স্বাধীনতার দাবিতে।

রেসকোর্সে ৭ই মার্চ আসে ঘোষণা। প্রস্তুত হয় বাঙালি। ২৫ মার্চ কাল রাতের পর শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। মার্চ থেকে-ডিসেম্বর, যত দিন গেছে কোনঠাসা হয়েছে হানাদাররা। 

বাঙালীর স্বাধীনতার লড়াইকে আড়াল করতে বেতারে ইয়াহিয়া খান ঘোষণা দেন-‘পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হয়েছে।’ কাজে আসেনি কোনো ষড়যন্ত্র। ডিসেম্বরের শুরুতেই স্পষ্ট হয়েছে সবকিছু।

মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, আসলে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসটি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময়। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পরিণতিকালের সময় বলে। নভেম্বর থেকেই আমরা স্পষ্টই বুঝতে পেরেছিলাম যে, পাকিস্তানীরা সারাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর হাতে পরাজিত হচ্ছে এবং তারা ক্রমশ দেশের ভেতরের দিকে চলে আসছে। বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। 

একে একে অনেক স্থান শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী। অপারেশনের মুখে বিভিন্ন ব্যারাক গুটিয়ে নেয় পাকিস্তানীরা। 

হারুন হাবীব আরও বলেন, নভেম্বর থেকে শুরু করে ডিসেম্বরের পহেলা তারিখ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর উপর। ১ তারিখে অনেকগুলো সীমান্তবর্তী জেলার অধিকাংশ এলাকা মুক্ত হয়ে যায়, হারাদাররা সেখানে থাকতে পারেনি।

বাঙালি এগিয়ে যায় চূড়ান্ত বিজয়ের পথে। একসাগর রক্তে আসে মুক্তি, আসে স্বাধীনতা।

এএইচ/এসএ/