ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এইডস : প্রয়োজন যথাযথ চিকিৎসা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

এইচআইভি সংক্রমণ মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙ্গে দিয়ে অন্যান্য জীবাণুর আক্রমণ সহজতর করে দেয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির অকাল মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে। বিশ্বে এখন এইডস আক্রান্ত রোগী আছে ৩ কোটি ৮০ লাখ। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৭ হাজার ৩শ’ ৭৪। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা নিলে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিও সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করতে পারে।

মরণব্যাধি এইচআইভি (এইডস)। আক্রান্ত ব্যক্তির অনিবার্য পরিণতি অকাল মৃত্যু।

১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে প্রথম এইচআইভি বা এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এর পর সারা বিশ্বে এই রোগে মারা গেছে ৬ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগি শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৩শ’ ৭৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৪২ জনের। ২০১৯ সালে সনাক্ত হয়েছে ৯শ’ ১৯ জন। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি এইডস আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে ঢাকা জেলায়। এরপরই চট্টগ্রামের অবস্থান।

দেশে ২৩টি জেলায় ২৮টি হাসপাতালে বিনামূল্যে এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।

এইচআইভি আক্রান্ত যুবক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তার জীবনের গল্প। 

মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবারে বলে দিয়েছে যে, আমি এইচআইভি পজিটিভ। কাউন্সিল করার পর ওরা এখন আমার ব্যাপারে বেশ পজিটিভ। জানার পর আমার মা, বোনরা কষ্ট পেয়েছে। এখন তারা সবাই আমার প্রতি খেয়াল রাখে। 

চিকিৎসকরা বলছেন, এইচিইভি সম্পূর্ণ ভালো হয় না। তবে নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামিউল ইসলাম বলেন, যেহেতু সম্পূর্ণভাবে সে মুক্ত হবে না, তাকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। সেই জায়গাটাতেই সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, বিনামূল্যে চিকিৎসাটা চালিয়ে যাওয়ার।

এইডস রোগের বিস্তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
 
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামিউল ইসলাম বলেন, অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক একজন পজিটিভ রোগীর সাথে হইলে, রক্ত পরিবহন সঞ্চালনের মধ্য দিয়ে হতে পারে, সুচ-সিরিঞ্জ ব্যবহার থেকে হতে পারে, মা থেকে, যারা এফেক্টেড হয়েছেন তাদের মধ্য থেকেও পারে।

বিএসএমএমইউ পিএমটিসিটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মেরিনা আখতার বলেন, সুঁই-সিরিঞ্জ ব্যবহারকে আমরা নিরুৎসাহিত করি, তারপরও প্রয়োজন হলে ডিসপোজিবল সিরিঞ্জ করা যাবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্ক্যানিং করে নিতে হবে। 

আক্রান্ত ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ের উপর জোর দেন চিকিৎসকরা।

এএইচ/এসএ/