ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

করোনায় কমেনি গৃহস্থালি পণ্যের কেনাকাটা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩২ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের প্রায় প্রতিটি শিল্পখাতই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে এবং মানসিকভাবে দূর্দশায় পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে, এই দুরাবস্থার মাঝেও বিশ্বের নানা দেশে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পেরেছে গৃহস্থালি পণ্যের শিল্পখাত; অর্থাৎ আমাদের দৈনন্দিন জীবনাচার ও রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহৃত নিত্য অনুসঙ্গ উৎপাদন শিল্প। 

করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরু থেকেই সবাইকে পারতপক্ষে নিজ ঘরের ভেতরে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এটি একদিকে যেমন আমাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে আমাদের গৃহস্থালির ব্যবহার্য জিনিসপত্রের ওপর চাপও বৃদ্ধি করছে। যার ফলে অনেকেই বাসার পুরোনো জিনিসকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কেউ বা আবার নতুন করে এসব গৃহস্থালি পণ্য কেনার দিকে ঝুঁকেছেন।

স্বাস্থ্যঝুঁকি ঠেকাতে অধিকাংশ মানুষই এখন রেস্টুরেন্ট বা কফিশপের মত জনবহুল স্থানগুলো এড়িয়ে চলছেন। কিন্তু ঘরবন্দী মানুষেরও শখ জাগে এক-আধবেলা বিশেষ কোনো রেসিপি তৈরি করার বা রেস্টুরেন্ট স্টাইলে রান্না করে খাওয়ার। যার কারণে করোনাকালে কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের চাহিদা খুব দ্রুতই পূর্বের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

এর পাশাপাশি করোনাকালে বেড়েছে স্বাস্থ্যকর উপায়ে দীর্ঘদিনের জন্য খাবার সংরক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তাও। ফলশ্রুতিতে, বৃদ্ধি পেয়েছে ফ্রিজ ও রেফ্রিজারেটরের চাহিদা। ব্যবহার্য পোশাক থেকে ভাইরাস ও ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করার লক্ষ্যে বেড়েছে ওয়াশিং মেশিনে ব্যবহার। ঘরবন্দী মানুষের জীবনে কিছুটা বিনোদনের আস্বাদ দিতে চাপ পড়েছে টেলিভিশনের বাজারেও।

বাইরে মহামারি চলছে, কিন্তু তার ফলে তো ঋতুর স্বাভাবিক পরিবর্তন থেমে থাকেনি। মহামারিকালে যে তাপপ্রবাহে গোটা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করেছেন, তা থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই এই সময়ে কিনেছেন এয়ার কন্ডিশনার এবং এয়ার পিউরিফায়ার।

চারপাশে নেমে আসা কঠিন সময়কে ভুলে থাকতে করোনাকালে অনেকেই বিভিন্ন এসো-নিজে-করি ধাঁচের কাজ দিয়ে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছেন। ব্যক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে এবং নতুন দক্ষতা তৈরি করতে গিয়ে অনেকেই এ সময় সাহায্য নিয়েছেন বিভিন্ন যান্ত্রিক অনুসঙ্গের, যার মধ্যে রয়েছে সেলাই মেশিন, বেকিং ওভেন, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ব্লেন্ডার প্রভৃতি। নতুন আয়ত্তে আনা এই দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই আবার এ সময়ে অনলাইনে ব্যবসাও শুরু করার চেষ্টা করেছেন।

এক্ষেত্রে মনে রাখার মত বিষয়টি হলো, কেবল যন্ত্র কেনার প্রয়োজনীয়তা বা ইচ্ছেই যথেষ্ট নয়, বরং সেই ইচ্ছেকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি ও আর্থিক উপযোগিতা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় যন্ত্রটি কেনার সামর্থের। কোভিড-১৯ এর কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সবাই। এক্ষেত্রে, সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, গ্রাহকদের চাহিদা ও যোগানের সর্বোচ্চ ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশে সিঙ্গার, ওয়াল্টন, মার্সেল ও মিনিস্টারসহ নানা ইলেক্ট্রনিক ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে আকর্ষনীয় মূল্য ছাড় এবং সহজ কিস্তির সুবিধা। যেমন: সিঙ্গার তাদের পণ্যের ওপর ক্রেডিট কার্ডসহ এবং ক্রেডিট কাড ছাড়া, উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের বিনা সুদে ৬ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সহজ কিস্তি সুবিধা দিচ্ছে।

এছাড়াও, মাসিক কিস্তির ক্ষেত্রে বেশ সহজলভ্য হার নির্ধারণ করেছে সিঙ্গার, যার ফলে আর্থিক স্বচ্ছলতা নির্বিশেষে সমাজের যেকোনো পর্যায়ের মানুষ এই বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডটির পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে ৩,৬৯০ টাকা, রেফ্রিজারেটরের ক্ষেত্রে ১,৮৭০ টাকা, স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রে ১,৫৯৪ টাকা, ওয়াশিং মেশিনের ক্ষেত্রে ১,২৮২ টাকা এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ক্ষেত্রে ১,০৪৯ টাকার সর্বনিম্ন হারে মাসিক কিস্তি প্রদানের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গারের পণ্যে।

খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের ক্রয়সুবিধা নিশ্চিত করতে চালু রেখেছে তাদের নিজস্ব কল-সেন্টার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চ্যানেল, যার ফলে পণ্য ও সুবিধাদি প্রসঙ্গে যেকোনো তথ্য বিস্তারিত জানা এখন আরো সহজ হয়ে পড়েছে। মহামারির সময়ে পূর্ণ নিরাপত্তা বজায় রেখে গ্রাহকসেবাকে প্রাধান্য দেওয়ার এই প্রচেষ্টাটি সত্যিই প্রশংসনীয়। সুতরাং, আপনিও যদি এই দূর্দিনে নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করতে আগ্রহী হন অথবা নিজেই বাসায় নতুন এক পদের খাবার রান্না করে বাসায় রেস্টুরেন্টের অভিজ্ঞতা নিতে চান তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসুন এবং স্বাচ্ছন্দ্য অনুসারে ক্রয় করুন আপনার পছন্দের পণ্য।

এসি