ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লিটন-মোসাদ্দেক ঝড়ে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১০:১৩ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

বলের দিকে তাকিয়ে ছুটছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার।

বলের দিকে তাকিয়ে ছুটছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার।

চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আজ মুখোমুখি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং শৈলিতে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করেছে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম। ব্যাটিংয়ে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। 

টস জিতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে আগে ব্যাটিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। ওপেনিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আনিসুল ইসলাম ইমনের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সৌম্য। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ২৯ বলে ৩৪ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

ওপেনিংয়ে সফলতার পরই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিঠুন। মাত্র ১১ রান করে ইমনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মিঠুনের বিদায়ের পরে শামসুর রহমান শুভও ফিরে যান ১ রান করেই। ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন তিনি। তবে একপ্রান্তে অবিচল থেকে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৩৫ বলে। 

চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে জুটি গড়েন লিটন। জীবন পেয়ে সেটা কাজে লাগান মোসাদ্দেক। মারকুটে এই ব্যাটসম্যান রানের চাকা সচল রাখলে বড় সংগ্রহের দিকেই এগিয়ে চলে চট্টগ্রাম। দুইজনে শেষ ৫ ওভারে তোলেন ৬১ রান। যদিও শেষ ওভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক। আউট হওয়ার আগে নামের পাশে শোভা পায় ৪২টি রান। ২৮ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ওই ইনিংস সাজান সৈকত। তার আউটের পর আরেক সৈকত (আলী) নেমে একটি মাত্র বল মোকাবেলার সুযোগ পেলেও আউট হয়ে যান তিনি।

তবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে লিটন অপরাজিত থাকেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭৮ রান করে। এসময়ে তিনি মোকাবেলা করেন ৫৩টি বল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি ছক্কা ও ৯টি চারে। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে পাঁচ উইকেটে ১৭৬ রান।

রাজশাহীর পক্ষে শেষ ওভারে ওই দুটিসহ মোট ৩টি উইকেট শিকার করেন মুকিদুল। আর একটি করে উইকেট পান ফরহাদ রেজা ও আনিসুল ইসলাম ইমন।

এনএস/