ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কোভিড-১৯ এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি

প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

এদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের পূর্বে দেশে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে—যদিও এটি মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে ঘটেছে। কোভিড-১৯-এর চলমান ধাক্কার সময়েও গ্রামীণ অর্থনৈতিক কাঠামোর শক্তিমত্তার জন্য ‘জীবন ও জীবিকার’ মধ্যে সামাজিক পুঁজি উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপন্থা গ্রহণের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য মোট ১ লাখ ২১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ গ্রহণ করে, তা বাস্তবায়নের কর্মকাণ্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কৃষিনির্ভর পণ্যাদির মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি ভূমিকা রয়েছে—যেটি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করে বরং সরাসরি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া উচিত। এর ফলে কৃষির সাম্প্রতিক উন্নয়ন সত্ত্বেও বাজার ব্যবস্থাপনার আওতায় একচেটিয়া কারবারির মতো হঠাত্ করে কোনো কোনো দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি; যেমন—এ বছর ও গত বছর পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তেলেসমাতি কারবার হলো—সেটি দূর করা দরকার।

বাংলাদেশের কৃষি খাতে নিখুঁত প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করা দরকার। গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৃষি নির্ভর শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কার্যক্রম, মত্স্য চাষ, পোলট্রিশিল্পের বিকাশ, গবাদি পশু লালনপালন, তরিতরকারির ক্লাস্টার, বিফ ফেটেনিং ক্লাস্টারসহ নানাধরনের কর্মসূচি অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসূচির ওপর নির্ভর করে পল্লি অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সামাজিক উন্নয়ন সংঘটিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুসারে দেখা যাচ্ছে—মোট কর্মজীবীর ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ কৃষি খাতে জড়িত। কৃষিক্ষেত্র এদেশের খাদ্য-সুরক্ষার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে, যদিও এটি দেশের ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা এবং দারিদ্র্য হ্রাসের একটি উপায়, যাতে করে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করে থাকে। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল বদ্বীপ হিসেবে এদেশ চিহ্নিত হয়েছে। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে অকৃষিজ খাতের ক্ষেত্রে হস্তশিল্প, কারুশিল্প এবং তৈজসপত্রটির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু আধুনিকায়নের ফলে শৈল্পিক দক্ষতা আগের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। প্রযুক্তি গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকায়ন এবং সস্তা পণ্যাদি উত্পাদন প্রক্রিয়ায় সংযুক্তি ঘটেছে। গ্রামীণ এলাকায় এখনো অকৃষিজ কর্মের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের প্রায় ৫০ শতাংশ সরাসরি অথবা অপ্রত্যক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভর করে থাকে। করোনা ভাইরাসের কারণে যদিও সরবরাহজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তখন সরকারের ডিজিটালভিত্তিক বেশ কিছু কর্মকাণ্ড সরবরাহজনিত সমস্যা প্রতিকূলতার মধ্যেও কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো বজায় রাখতে বেসরকারি কিছু উদ্যোগ ও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। বস্তুত, স্থানীয় খাদ্য সরবররাহ ব্যবস্থাপনা এবং সীমিত সঞ্চয় ক্ষমতার দরুন লকডাউনের সময়ে কৃষকেরা তাদের পচনশীল দ্রব্যাদি বিক্রি করতে নানামুখী প্রচেষ্টায় শরিক হন। তবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এ সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করলে কৃষকদের মধ্যে আরো আশা এবং আস্থার সঞ্চার করতে পারত। বরং পিকেএসএফ এ সময় বেশ ভালো কাজ তাদের পার্টনার অর্গানাইজেশনগুলোর মাধ্যমে করেছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র এনজিওগুলোতে আরো আর্থিক অনুদান কোভিডের সময়ে দিতে পারত, যদি তাদের বেশি ফান্ড থাকত। লকডাউনের সময়ে রিকশা ভ্যানগুলো বিভিন্ন পচনশীল কৃষিজাত পণ্য পরিবহন করেছে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি যথেষ্ট মাত্রায় হ্রাস করেছিল। এ ধরনের উদ্ভাবনী কার্যক্রম দেশের কৃষকদের দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অস্তিত্ব টিকে থাকার সংগ্রামে সহায়তা করেছিল।

জনসংখ্যার পরিবর্তন, মানবপুঁজি গঠনে আধুনিকতা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দেশে তুলনামূলকভাবে দক্ষ জনসংখ্যার বৃদ্ধি, পরিবারের সদস্যসংখ্যা হ্রাস এবং সর্বোপরি প্রযুক্তিগত উত্কর্ষ কৃষি খাতকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। গ্রামীণ অঞ্চলে প্রবাসী শ্রমিকদের একাংশ দেশে ফেরত আসায় তাদের শ্রমবাজারে ঢুকতে দিতে হবে। কোভিডের সময়ে যখন কৃষকেরা ধান কাটতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তখনো ক্রপ রিপার্স এবং হার্ভেস্টির মেশিন দ্বারা সরকার সহায়তা করেছেন। সরকার প্রথমবারের মতো কৃষি খাতে বাজার ডিজিটাল শুরু করেছিল ২০২০ সালে ‘জাতির জন্য খাদ্য’ শিরোনামে। এটি একটি সময়োপয়োগী পদক্ষেপ ছিল। বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য অবশ্যই ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন। তবে ডিজিটাল ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যে ধরনের ত্রুটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং আমাদের দেশেও কিছুটা হলেও অঘটন ঘটেছে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। যাতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস করা যায় সেদিকে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। সামাজিক ব্যাংকিং পৃথক রেগুলেটারের অধীনে স্থাপন করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়েকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংককে কাজে লাগানো দরকার। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তহবিল স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় জনসমর্থনকেন্দ্রিক ক্রিয়াকলাপ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক ডিজিটাল প্রযুক্তির গবেষণা এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রযুক্তিকে কৃষি ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গতিময়তা দিতে হবে। ডিজিটাল অর্থনীতি যাতে মালটি টাস্কিং সুবিধা পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। ডিজিটাল অর্থনীতির প্রায়োগিক কলাকৌশল এদেশের বাস্তব অবস্থার সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা দরকার, যাতে আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির অগ্রগতির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে দেশে আত্মকর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতার সৃষ্টি হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাবহারিক এবং বাস্তবসম্মত শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি ডাটা সেন্টার থাকতে হবে। মেশিন লার্নিং সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা দরকার, যাতে ক্ষতিকারক প্রভাব রোধ করা যায়। বিগ ডাটার ব্যবহার মানুষের আর্থিক উন্নতির জন্য ব্যবহার করা উচিত। শিশু বয়স থেকেই নৈতিকতা মেনে প্রতিভার স্ফুরণ ঘটানোর জন্য ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিকে ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বের প্রত্যেক দেশের প্রয়োজনে স্বনির্ভর উদ্ভাবনী পদ্ধতি তৈরি করতে একটি দেশের অভ্যন্তরীণস্থ সমন্বিত পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তমূলকভাবে ব্যবহার করা দরকার, যেখানে সরকার এনজিও মোবাইল অপারেটর পরিষেবা সরবরাহকারী এবং পরিষেবা চাহিদাকারী একটি সাধারণ প্ল্যাটফরমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। আয়বৈষম্য হ্রাসকল্পে বণ্টনব্যবস্থায় কার্যকরভাবে নিম্ন আয়ের লোকদের কাছে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কোনো একটি বিশেষ শ্রেণি বা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আটকে না রেখে বরং টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তদারকি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে টার্গেট গ্রুপ তাদের নিজ নিজ অর্থপ্রাপ্তিতে যেন কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়। দেশে কর জিডিপির হার হচ্ছে মাত্র ৯ শতাংশ। এটি যে কোনোভাবে আগামী বছরের মধ্যেই ন্যূনতমপক্ষে ১৫ শতাংশ উন্নীত করা দরকার। দেশে আমদানিবিকল্পায়ন শিল্প প্রতিষ্ঠা এবং যুবসমাজের কর্মসংস্থান করা উচিত। এদেশে মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন বর্তমান সরকারের আমলে ঘটেছে। দেশের উচ্চশিক্ষা, উন্নত মানবপুঁজি গঠনের ক্ষেত্রে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উত্কর্ষের ব্যবহার সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

এদিকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ ঘটাতে সরকার প্রয়াস গ্রহণ করেছে। শুল্টজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে মানবপুঁজি গঠনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি তিনটি উপাদনকে কার্যকরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন—মানবপুঁজি গঠন ছাড়া কেবল দেশের পক্ষে ভৌত-অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব নয়; অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মানবপুঁজি গঠনের মাধ্যমে সম্ভব এবং একই সঙ্গে ভৌত অবকাঠামোগত পুঁজি কাজ করতে হবে , মানবপুঁজির সংকট হলে অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ স্থগিত হবে। তবে মানবপুঁজি গঠনের জন্যে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর শুল্টজ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। আবার ওকুনস তত্ত্ব অনুসারে ১ শতাংশ বেকারত্ব হ্রাস করতে গেলে মোট দেশজ উত্পাদনের ২ শতাংশ ব্যয় করতে হয়। সমগ্র বিশ্ব আজ কোভিড-তাণ্ডবে মানুষের জীবন ও অর্থনীতির মধ্যে এক দোটানা অবস্থায় পড়েছে। ব্যাস্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যে যে ধরনের ধারা লেগেছে তার ঢেউ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পরস্ফুিট হয়েছে। তার পরও মাথাপিছু আয় এবং মোট দেশজ উত্পাদনের ক্ষেত্রে এদেশ ভালো করছে। স্বাস্থ্য খাত থেকে আরম্ভ করে খাদ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যার উদ্রেক করেছে। দেশে যেহেতু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লেগেছে, সেহেতু রাজস্বনীতির পাশাপাশি মুদ্রানীতিকে আরো কার্যকরী করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। রোমার এবং গারবার (২০২০) সালে মন্তব্য করেছেন যে, যদি ১২ থেকে ১৮ মাস সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়, তবে হয়তো মানুষের জীবন বাঁচবে কিন্তু সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি মৃত্যুবরণ করবে। জনস্বাস্থ্যবিদদের উপদেশ শোনার পাশাপাশি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের মতো দেশপ্রেমিক ও অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে কোভিডের কারণে অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা রাখা যায়, সেজন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এদিকে কেবল ঋণখেলাপি নয়, সাধারণ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিলেও ফেরত দিচ্ছে না। এরূপ চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ব্যাংকগুলোর কী অবস্থা হবে তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এখন থেকে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং তৈরি করে সমস্যা সমাধানে ব্রতী হতে হবে। বস্তুত, কোভিডের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোগব্যাধি নিরাময়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান এবং উত্পাদন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিবেচনায় এনে কাজ করতে হবে। কেবল সরবরাহের ক্ষেত্রে ধাক্কা নয় বরং চাহিদার ক্ষেত্রেও ধাক্কা লেগেছে। এক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা বড় প্রয়োজন।

লেখক: ইকোনমিস্ট, আইটি এক্সপার্ট