ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ডাক্তারের কাছে কীভাবে বলবেন রোগের ইতিহাস?

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ২০ মে ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ২১ মে ২০১৭ রবিবার

সঠিক রোগ নির্ণয়ের পূর্বশর্ত হচ্ছে ডাক্তারের কাছে রোগের উপসর্গ সঠিকভাবে উপস্থাপন করা। না হলে ডাক্তারও ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যা রোগীর জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে রোগের উপসর্গ সঠিকভাবে বলা জরুরি। কারণ রোগের বিবরণের উপর নির্ভর করে অনির্ণীত রোগের চিকিৎসার জন্য শারীরিক পরীক্ষা বা মেডিকেল টেস্ট করার প্রয়োজন হয়। তাই ডাক্তারকে সাহায্য করতে এবং চিকিৎসায় ভুল এড়াতে রোগের সম্পূর্ণ ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থান করা উচিত। এক্ষেত্রে আপনার পূর্ববর্তী রোগের সময় ও চিকিৎসার রেকর্ড গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করার পূর্বে আপনার প্রস্তুতি এবং আপনার চিকিৎসার ইতিহাস কীভাবে উপস্থাপন করবেন সে বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

১। অদ্ভুত উপসর্গগুলোর তালিকা তৈরি করে নিন

নিজের রোগের উপসর্গ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের লিখিত তালিকা তৈরি করা শুধু ডাক্তারের জন্যই না রোগীর জন্যেও অনেক উপকারী। আপনি হয়ত আপনার রোগ সম্পর্কিত এমন অনেক কিছুই ডাক্তারকে জানাতে চান কিন্তু কথা বলার সময় সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে উপসর্গগুলো আগেই লিখে নিয়ে যাওয়া উচিত।

২। সংকোচের কারণে কোনো সমস্যা বা উপসর্গের কথা এড়িয়ে যাবেন না

সংকোচ করে যদি রোগের কোনো উপসর্গ ডাক্তারের কাছে লুকান তবে তা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেমন ধূমপান, মদ্যপান এর অভ্যাস বা ব্যক্তিগত অস্বস্তিকর কোনো সমস্যার কথা ডাক্তারের কাছে লুকানো উচিত নয়।

মনে রাখবেন অসুস্থ ব্যক্তির পিতামাতার চিকিৎসার ইতিহাসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই রেকর্ড রোগীর সময় ও টাকা বাঁচাতে পারে। এতে তার পরবর্তী অনুসন্ধানকে এড়িয়ে যাওয়া যায়।

৩। অ্যালার্জি বা পূর্ববর্তী চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের তথ্য

আপনার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে পূর্ববর্তী চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের তালিকা জানা থাকা সবসময় উপকারী। বিশেষ করে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে বা এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেলে। এতে রোগীর টাকা ও সময় বাঁচার পাশাপাশি দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে।

৪। সাম্প্রতিক শারিরীক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ জরুরি

বর্তমানে অনেকেই নিজের রক্তের চিনির মাত্রা ও থাইরয়েডের মাত্রার টেস্ট করিয়ে নিজেই আপডেট থাকেন। যখন আপনি ভিন্ন কোনো কারণে বা রোগের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন তখন আপনি আপনার সাম্প্রতিক টেস্টের রিপোর্ট ও চিকিৎসককে দেখাবেন। এটি আপনাকে ঔষধের পরামর্শ দিতে চিকিৎসককে সাহায্য করবে।

৫। জীবনযাপনের অভ্যাস ও হারবাল ঔষধ গ্রহণের তথ্য জানানো

আমরা জানি জীবনযাপন প্রণালি চিকিৎসার উপর প্রভাব ফেলে। সাধারণ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মোকাবেলা বা এসিডিটির সমস্যা দূর করার জন্য অনেকেই ভেষজ উপাদান গ্রহণ করে থাকেন। এগুলোর তথ্য এবং আপনি কতক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকেন বা দিনে কতক্ষণ ড্রাইভিং করেন তাও আপনার চিকিৎসককে জানানো উচিৎ। এতে করে ডাক্তার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়বেন না।

 

সূত্র: দ্য হেলথ সাইট