ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

পাশাপাশি কবরে শায়িত হলেন ভাই-বোন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই ভাইবোন আব্দুল মালেক (২৩) ও সুমাইয়া আক্তার জেসমিনকে (১৪) পাশাপাশি কবরে শায়িত করা হয়েছে। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরসরাই উপজেলার ১৫নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর বাওয়াছড়া সড়কে রেল লাইনে ছবি তুলতে গিয়ে দুই ভাইবোন মালেক ও জেসমিন মারা যান। শুক্রবার রাতে এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাদের লাশ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। 

নিহত মালেক ও জেসমিনের মামা ইমরান হোসেন জানান, শুক্রবার শেষ রাতে আমার ভাগিনা-ভাগনির লাশ মিরসরাই থেকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় আমার কড়ইতলী গ্রামে প্রথম জানাযা ও তাদের গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুরে ২য় জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, কিছুতেই ভুলতে পারছি না তাদের। এভাবে একসাথে চলে যাবে কোনদিন ভাবতেও পারিনি বলে মুঠোফোনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। আমার বোন, আর বেঁচে থাকা এক ভাগিনা, ভগ্নিপতিকে আর মিরসরাই যেতে দেব না। এখন থেকে তারা আমার বাড়িতে থাকবে।

জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকায় ১৫ বছর ধরে স্ত্রী ২ ছেলে, ১ মেয়েকে বসবাস করতে মো. নুরুল মোস্তফা। তিনি স্থানীয় প্যারাগন ফিড মিলে চাকরি করেন। গত কয়েক বছর ধরে বাবার সাথে নিহত ছেলে মালেকও প্যারাগনে চাকরি করেন। তাঁরা দক্ষিণ ওয়াহেদপুর গ্রামের আনোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

গত শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মালেক তাঁর মা শামছুন নেছা ও ছোট বোন জেসমিনকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাওয়াছড়া লেকে ঘুরতে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রেললাইনে ছবি তোলার সময় শ্রবণ প্রতিবন্ধি ভাই মালেককে বাঁচাতে গিয়ে বোন জেসমিনও ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। মহুর্তে আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে। সুমাইয়া আক্তার জেসমিন সরকারহাট এনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
কেআই//