ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

৪ বছরে উবার ব্যবহার করেছেন ৪০ লাখ যাত্রী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৩ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার

আজ বাংলাদেশে কার্যক্রমের চার বছর পূর্ণ করলো উবার। এখন পর্যন্ত ৪০ লাখেরও বেশি যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ১৭৫,০০০ হাজারেরও বেশি চালকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাইডশেয়ারিং কোম্পানিটি। 

বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকাভুক্ত হওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণে সহয়তা করতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশে কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেয়ার বিষয়ে উবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বাংলাদেশে ৪র্থ বর্ষপূর্তির মাইলফলক উপলক্ষ্যে উবারের বাংলাদেশ এবং উত্তর ও পশ্চিম ভারতের প্রধান শিব শৈলেন্দ্রন বলেন, “উবার এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার পাশাপাশি চালকদের সুবিধাজনক উপায়ে উপার্জন করার সুযোগ করে দেয়। আর তাই এই বর্ষপূর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশে উবারের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও নতুন নতুন সার্ভিস আনার নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা আবারও সচল করতে উবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বর্ষপূর্তিতে ক্রমাগত সমর্থন ও আস্থার জন্য বাংলাদেশে আমাদের চালক ও যাত্রীদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।”

দেশব্যাপী লকডাউন প্রত্যাহার করার পর উবার ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী একাধিক নতুন সার্ভিস চালু করেছে উবার। এর মধ্যে রয়েছে উবার কানেক্ট। এটি একটি পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিস, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছে দিতে পারছেন। এছাড়া চালু করেছে উবার রেন্টালস সার্ভিস যা এই নিউ নরমাল সময়ে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একই গাড়িতে কয়েক ঘণ্টা এবং একই সাথে কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার সুযোগ করে দেয়।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে, বাংলাদেশের প্রথম রাইডশেয়ারিং কোম্পানি, উবার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে বিকাশের সাথে অংশীদারিত্ব করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট অপশন বা স্পর্শহীন লেনদেন ব্যবস্থা চালু করে। বিশ্বব্যাপী ঘটে যাওয়া করোনা মহামারীর পরে উবার-বিকাশের এই অংশীদারিত্বটি একটি গুরত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে উবার। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রত্যেক উবার ব্যবহারকারীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্পর্শহীন, ক্যাশলেস বা নগদবিহীন ও ঝামেলামুক্ত উপায়ে ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে।

গত কয়েক মাসে, উবারের টেক ও সেফটি টিম নতুন নতুন সার্ভিস আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক উবার ব্যবহারকারী এই প্ল্যাটফর্মটি নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের জন্য কোম্পানিটি নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বেশ কিছু সেফটি ফিচার চালু করেছে যার মধ্যে রয়েছে ইন্টার‌্যাক্টিভ গো-অনলাইন চেকলিস্ট, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা, যাত্রী ও চালক উভয়ের জন্য ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প্রি-ট্রিপ মাস্ক ভেরিফিকেশন সেলফি।

এছাড়াও, নভেম্বর মাসে উবার একটি সার্বক্ষণিক সেফটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে যার মাধ্যমে যাত্রার সময় জরুরি কিংবা ছোটখাটো সমস্যা যেমন- চালক বা যাত্রীর দুর্ব্যবহার, কোনো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ বা গাড়ির সমস্যায় যাত্রীরা উবারের সেফটি টিমের প্রতিনিধির সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। এই সেফটি হেল্পলাইন নম্বরটির পাশাপাশি ইতোমধ্যেই উবার অ্যাপের সেফটি টুলকিটের মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে এসওএস ৯৯৯ বাটন, যা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সরাসরি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যুক্ত করে।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা, কার্যকর অংশীদারিত্ব এবং নতুন নতুন সার্ভিস আনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সামনে এগিয়ে চলতে এবং মহামারীর পরে দেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করাই উবারের লক্ষ্য।

আরকে//