ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২০ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস আজ। প্রতিবছরের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারিভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক প্রতিবছর বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার এসব অয়োজন থাকছে না। 

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় দুর্নীতিবিরোধী অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করে দুদক। এবারের প্রাতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘শুদ্ধাচারই পুনরুদ্ধার’। 

জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দুদক ২০০৭ সালে দিবসটি পালন শুরু করে। দিবসটি উপলক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে দুদকের নতুন নেতৃত্ব নিয়োগে স্বচ্ছতার দাবি জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির মাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে জন-আকাক্সক্ষা অনুসারে হয়তো কমেনি। তবে দুর্নীতি দমনে কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপগুলো মোটামুটি প্রশংসিত হচ্ছে। দুদক গত পাঁচ বছরে তদন্তের গুণগত মান বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে। এজন্যই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর ফলও পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কমিশনের মামলার সাজার হার ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে এটা ছিল ৬৮ শতাংশ। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে এখন পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে সাজার হার প্রায় ৭৭ শতাংশ। দুদকের মামলায় একসময় সাজার হার ২০ শতাংশে নেমেছিল। আমাদের সবার সমন্বিত উদ্যোগেই মামলায় সাজার হার ক্রমাগত বাড়ছে। কমিশন চায় শতভাগ মামলায় আসামিদের সাজা হোক। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ডে দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমেছে। করোনাকালে ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে যেসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে দুদক। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুদকের প্রতি প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে। যদি দুর্নীতি মাত্রাগতভাবে কিছুটা না কমে, তাহলে বিশালসংখ্যক মানুষের দুদকের প্রতি আস্থার কারণ কী? আরেক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিটি অনুসন্ধানই একই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। কাকে কোথায়, কীভাবে, কখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে-এ বিষয়গুলো অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন।’

এদিকে এক বিবৃতিতে টিআইবি জানায়, সুশাসিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। তাই সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন, বিচার প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি, গণমাধ্যম ও দেশবাসীর স্বাধীন মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
এসএ/