ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে রেণুপোনা নিধন, বাড়ি-বাড়ি বিক্রি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার

পটুয়াখালীর বাউফলে তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে রেণুপোনা নিধন। স্থানীয় হাটে বাজারে বিক্রি করতে না পারায় নদী পাড়ের বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি-বাড়ি ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে কাচকি নামে এসব রেনুপোনা ও ছোট মাছ। ড্রাম ও ডোল ভর্তি করে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মাধ্যমে সুকৌশলে নদী থেকেই এসব রেণুপোনা ও ছোট মাছ চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন তুলে দেয়া হচ্ছে ডবল ডেকার লঞ্চে। 

জানা গেছে, এক শ্রেণির অসাধু জেলে নদীর চরওয়াডেল, চর রায়সাহেব, ধুলিয়া, মমিনপুর, মঠবাড়িয়া পয়েন্টে অবৈধ বাঁধা, মসুর, বেড় জাল ও কোদাল জালে শিকার করছে এই রেণুপোনা ও ছোট মাছ। ট্রাকযোগেও বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে।

জাহাঙ্গির হোসেন নামে স্থানীয় এক জেলেসহ মাছ ব্যবসায় জড়িত কয়েকজন জানান,‘কাচকি, চাপিলা, দগরিসহ রেণুপোনা কিংবা ছোট মাছ নিধণের কারণে নদী থেকে দিন দিন কমে যাচ্ছে ইলিশ মাছ। মৌসুমে ইলিশের অভাব দেখা দেয়। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চিহ্নিত করে প্রতিবছর তেঁতুলিয়া নদীর এসব পয়েন্টে মাছ ধরা ও বিক্রিতে নিশেধাজ্ঞা থাকায় জাল ফেলতে পারেন না জেলেরা। তবে এসময় শিকার করা কাঁচকি আর রেণুপোনার মধ্যে চাপিলা নামে ইলিশের পোনা, পোয়া, বাইলা, চিংড়ি, বাটা, লাল দগ্রীসহ সব মাছই থাকে।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক পিযুষ কান্তি হরি বলেন,‘কাঁকড়া, কাঁচকি, চাপিলা, লাল দগ্রীসহ ছোট মাছ ও রেণু পোনা নিধণের মতো প্রতিকূলতার কারণেই তেঁতুলিয়া নদী থেকে দিন দিন ইলিশ মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অবরোধ ছাড়াও মৎস্য ভান্ডার সংরক্ষণে সকলের সচেতন হওয়া দরকার।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. অহেদুজ্জামান বলেন, ‘চুরি-চামারি করে কেউ কেউ ধরতে পারে। তবে নদীতে  আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।
কে আই//