ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্রমাগত অ্যাসিডিটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২১ মে ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১১:১৭ এএম, ২২ মে ২০১৭ সোমবার

গার্ড কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই? গ্যাস্ট্রোইসেফাগাল রিফ্লাক্স ডিজিজকে ইংরেজিতে এক কথায় গার্ড (GERD) বলেন চিকিত্সকরা। পাকস্থলীতে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা প্যাংক্রিয়াটিক লিকুইডের আধিক্যের ফলে তা খাদ্যনালী বা ইসোফেগাসে চাপ দেয়। যার ফলে প্রদাহ ও বুক জ্বালা অনুভূত হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাসিড রিফ্লাক্স সে ভাবে গুরুতর সমস্যা না হলেও দীর্ঘ দিন ধরে যদি অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে থাকলে তা ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স হওয়ার ফলে যে প্রদাহ ও অস্বস্তি তৈরি হয় তার থেকে খাদ্যনালী বা ইসোফেগাস সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এর ফলে গলায় অস্বস্তি, বমি ভাব, কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্টর মতো সমস্যা দেখা দেয়। গলার কাছে কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে থাকে। দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয় অ্যাসিড রিফ্লাক্স।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স খুবই সাধারণ সমস্যা এবং বিভিন্ন সময় প্রায় সকলেই এই কমবেশি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। যদি অন্ত্রের নীচের অংশে দীর্ঘ দিন ধরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে থাকে তা হলে ব্যারেট’স ইসোফেগাসের ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

এই সমস্যায় গ্রন্থি কোষ পাকস্থলীর স্কোয়ামাস কোষকে প্রতিস্থাপন করতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে তা থেকে ডিজল্যাপসিয়া হতে পারে। এই ডিজল্যাপসিয়াই ধীরে ধীরে ক্যানসার ডেকে আনতে পারে।

যদি আপনার প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় তা হলে এখনই সাবধান হয়ে যান। চকোলেট, অ্যালকোহল, নিকোটিন, ক্যাফেইন, ভাজা ও ফ্যাটি খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এই খাবারগুলো থেকেই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।