ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

‘ভাস্কর্য ভেঙ্গে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি’

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১৯ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

সাম্প্রদায়িক উগ্র মৌলবাদি সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে করে পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন, যার হাত ধরে স্বাধীনতা পেলাম স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে তার ভাস্কর্য ভেঙ্গে দিয়ে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি। 

মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, এতে অন্যায়ের কিছু নাই। কিন্তু আপনারা বাংলার স্থপতির ভাস্কর্য তো ভাঙ্গতে পারেন না। তিনি শনিবার বিকেল ৪টায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে শহরের আব্দুজ জহুর সেতুর পশ্চিম পাড়ে হাউজিং স্টেট মাঠে স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তার বাড়িতে যদি চটের বেড়াও থাকে, সেটা ভেঙ্গে দেয়ার অধিকার কারও নেই এবং তা করলে সেটা হবে ফৌজদারী অপরাধের সামিল। কাজেই যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য কিংবা কারও বাড়ির বেড়া ভাঙ্গার চেষ্টা করেন তাহলে আপনাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য সরকারের নিকট দাবি তোলা হয়েছে- ঐ সমস্ত মৌলবাদিকে বিচারের আওতায় আনার। 

মন্ত্রী বলেন- দেশে আইন আছে, কাজেই দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের যারা অক্সিজেন দেন, অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন, তাদের টাকার উৎস বন্ধ করার পাশাপাশি প্রত্যেককে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করারও ঘোষণা দেন। 

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সবুজ কান্তিদাসের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আলী আমজদ, সহ সভাপতি এড. অবণী মোহন দাস, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড. শামছুন্নাহার বেগম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম, পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমদ ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. হোসেন আলী ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন প্রমুখ।

এনএস/