ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

ভিডিও দেখুন

পাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

মুক্তিযুদ্ধের ৪৯ বছর পরেও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর বধ্যভূমি সংরক্ষণের কার্যকর উদ্যোগ নেই। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে সংরক্ষণের চূড়ান্ত রায় এলেও কার্যকর না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

একাত্তরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাহাড়তলীর বধ্যভূমিতে ট্রেন থেকে নামিয়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে ধরে এনে হত্যা করা হয় ৫ হাজারের বেশি বাঙালিকে।

হালিশহরের মধ্যম নাথপাড়া ও আবদুরপাড়া বধ্যভূমিতে বিহারিরা হত্যা করেছিল ৩৬ জন নিরীহ মানুষকে। এছাড়া গোসাইলডাঙ্গা, বিমানবন্দর, গুডস হিল, সিআরবি, লালখান বাজার, আন্দরকিল্লায় মীর কাসেম আলীর টর্চার সেল ‘ডালিম হোটেল’সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঙালিদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

তবে স্বাধীনতার এত বছর পরেও অযত্ন, অবহেলা আর অবৈধ দখলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিগুলো।

রিটকারী অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন বলেন, গণহত্যা যাদুঘর থেকে আমরা ৩২টি জরিপ করেছি প্রতিটি জেলায় জেলায়।

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের আবেদনে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌনে দুই একর জমি অধিগ্রহণ করে পাহাড়তলী বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। পরে জোট সরকার এসে ওই প্রকল্প বাতিল করে।

সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মুহম্মদ জাফর ইকবাল, মুনতাসীর মামুনসহ আট বিশিষ্ট নাগরিক হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রিট নিষ্পত্তি করে দিলে আবেদনকারীরা আপিল বিভাগে যান। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের আদেশ দেন।

অধ্যাপক ড. মুনতাসির মামুন বলেন, এ নিয়ে অনেকগুলো রিট করেছি। আমলাতান্ত্রিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে সেটি সংরক্ষিত হচ্ছে না। হাইকোর্টের রায় অনুসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের এগুলো সংরক্ষণ করা উচিত।

এরপর পেরিয়ে গেছে বেশ ক’বছর, বাস্তবায়ন হয়নি রায়। পাঠানো হয়েছে আদালত অবমাননার নোটিশ।

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ৬ বছরে অগ্রগতিটা এটুকুই যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে আছে সেটি অধিগ্রহণ করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সেই প্রস্তাবটা এখন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পেন্ডিং আছে।

ড. মুনতাসির মামুন বলেন, আমলাতন্ত্রকে দিয়ে কোন কাজ করানো সম্ভব হবে না। যদি না তার সঙ্গে নির্মাণ বা অন্য কোন আর্থিক সংশ্লিষ্ট থাকে।

সারা বাংলাদেশে এ পর্যন্ত হাজারখানেক বধ্যভূমি শনাক্ত করা হলেও সংরক্ষণ করা হয়েছে মাত্র ৩৫টি।
ভিডিও :

এএইচ/