ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পাবনায় ‘শেকড় থেকে শিখরে’ নামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য (ভিডিও)

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

একাত্তরে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধু ও বাংলার ইতিহাসকে ভিত্তি করে পাবনায় নির্মিত হয়েছে ‘শেকড় থেকে শিখরে’ ভাস্কর্য। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে সহজেই জানতে পারছেন বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধারা। 

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন পাবনার বেড়া অঞ্চলের হাজারো মানুষ। অনেকেই শহীদ হন। ইতিহাস মতে, বেড়ার ডাববাগান যুদ্ধই একাত্তরের প্রথম সংঘটিত সম্মুখ যুদ্ধ। 

এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণে নগরবাড়ী ঘাটের অদূরে নাটিয়াবাড়িতে ধোবাখোলা করোনেশন স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের পাশে নির্মাণ করা হয় ‘শেকড় থেকে শিখরে’ নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য। 

১০ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের স্তম্ভের ওপর স্টেইনলেস স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮ ফুট উচ্চতার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যের দু’পাশে রয়েছে তিনটি করে স্তম্ভ। যাতে সিমেন্ট কেটে অঙ্কিত হয়েছে ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির উত্থান-পতন ও উন্নয়নের ধারা।

মূল ভাস্কর্যের এক পাশে ২৬টি কলামের সীমানা প্রাচীর রয়েছে। যার প্রত্যেকটি কলামে টাইলসের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে লিপিবদ্ধ হয়েছে সিরাজ-উদ-দৌলা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও ’৭৫-এর জাতির পিতা ও তার পরিবারের ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের সচিত্র ইতিহাস। বর্তমানে অনেকটা অযত্নে রয়েছে ভাস্কর্যটি। প্রশাসনের নজরদারি দাবি স্থানীয়দের।

শিক্ষার্থীরা জানান, ইতিহাস যে বইটা আমরা পড়ি, প্রত্যেকটা প্লট, প্রত্যেকটা টাইলস থেকে সেই বইটারই একটা ব্যবহারিক স্লট দেখতে পাই। স্থাপনাটা নিয়ে অবশ্যই আমরা গর্ব করি।

এই ভাস্কর্য নির্মাণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ বললেন শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধারা।

পাবনা ধোবাখোলা করোনেশন স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, স্বাধীনতার গৌরবময় ইতিহাস খোদাই করা আছে।

নগরবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এস এম ফজলুল হক বলেন, তরুণ প্রজন্ম যখন এই ইতিহাসগুলো জানতে পারবে তখন বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের একটা পূর্ণাঙ্গ ধারণা আসবে। 

পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ২০১৬ সালে ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেন। বহুমাত্রিক এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেন স্থানীয় শিল্পী বিপ্লব দত্ত।

পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, সমগ্র জাতির কাছে এটিকে একেবারেই তাদের মাথা-মগজের ভেতরে দেবার জন্যই এই স্থাপত্য নির্মাণ কাজটি করেছি।

প্রতিদিন শত শত মানুষ শ্রদ্ধা, ভালবাসায় দেখতে আসেন এ ভাস্কর্য।
ভিডিও :

এএইচ/