ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর ছিনিয়ে নিয়েছে করোনা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০২:৪৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার

মহামারী শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর কেড়ে নিলো। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা সব বন্ধ। কিছু প্রতিষ্ঠান অবশ্য অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে। পিএসসি, পিইসির মতো জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও হয়নি। পরীক্ষা দিতে পারেনি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও। এক বছরের ঘাটতি পূরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়িয়ে শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বছর শুরুতে নতুন বইয়ের গন্ধ, হইহুল্লোড়ে মূখর ক্লাসরুম আর খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গেলো করোনার কালো ছায়ায়। 

মহামারিতে বিশ্বের ১ কোটি শিশু আর স্কুলে ফিরতে পারবে না- এ আশঙ্কা দ্য ব্রিটিশ চ্যারিটির। আর্থিক সংকট ও আকস্মিক দারিদ্র্যের ফলে শিশুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হওয়ার আশংকা ইউনিসেফের। 

ঘরবন্দী শৈশব। প্রভাব পড়ে মনের ওপরও। পিএসসি-পিইসি, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও থামাতে হয়েছে। প্রস্তুতি ছিলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার। শেষ পর্যন্ত সেটাও হলো না। 

সমীক্ষা বলছে, মহামারির কারণে প্রাক-প্রাথমিকের প্রায় ৪৫ শতাংশ ঝরে পড়ার আশঙ্কা আছে। অনলাইন ক্লাস কিংবা মূল্যায়ন পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভায় গাইডলাইন অনুযায়ী মূল্যায়নের প্রস্তাবও বাস্তবায়ন হয়নি। প্রাথমিক কিংবা ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর বিকল্প হিসেবে বার্ষিক মূল্যায়নের বিষয়টিও গবেষণা পর্যায়েই আছে। 

সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে একটি বছর ছিনিয়ে নিয়েছে করোনা। এ অবস্থায় এক বছরের ঘাটতি পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরই পরিকল্পিত শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সবচেয়ে বড় কাজ হবে তিনটি। তা হলো শিক্ষকদের প্রস্তুত করা, অভিভাবকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা। 

শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ অনুযায়ী কারিকুলাম পুন:সংস্করণ করে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদও দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।

রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, শিক্ষকদের যদি সক্ষমতা বাড়াতে হয়, শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বাড়াতে হয়, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে যদি আস্থা ফেরাতে হয় তাহলে বিনিয়োগটাও বাড়াতে হবে। যথাস্থানে যথাযথ বিনিয়োগ দরকার। এই যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবো, তা উৎসব আকারে খোলা উচিত। প্রস্তুতি পর্বটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনাভ্যস্ততা ও ভীতি কাটাতে শিক্ষার্থীদের আস্থা ফেরানোও জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ভিডিও-

এএইচ/