ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

যে ১০ বদভ্যাস কিডনীর ক্ষতি করছে

প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ২২ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৫:৩১ পিএম, ২৫ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার

রক্ত পরিস্রবন করা কিডনীর অন্যতম কাজ। এছাড়া শরীরের তরলের ভারসাম্য রক্ষা করা, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং মূত্র তৈরির কাজ করে থাকে কিডনী। কিডনী যখন শরীরের বর্জ্য ত্যাগে ব্যর্থ হয় তখন তা কিডনী ও কিডনীর কাজের উপর প্রভাব ফেলে, শরীর ফুলে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যার একমাত্র চিকিৎসা কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট। তাই খাবারের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। একইসঙ্গে কতিপয় খাবার পরিত্যাগ এবং কিছু ভালো অভ্যাগ গড়ে তুলতে পারলে সব সময় কিডনী কার্যক্ষম রাখা যায়। আসুন জেনে নিই যে ১০টি খারাপ অভ্যাস কিডনী নষ্ট হওয়ার মূল কারণ।

১। পর্যাপ্ত পানি পান না করা

পানির অপর নাম জীবন। পর্যাপ্ত পানি পান করা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান। আর কিডনী ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান অপরিহার্য। পর্যাপ্ত পানি পান করলে অবাঞ্ছিত বিষাক্ত পদার্থ এবং সোডিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এছাড়া কিডনীতে পাথর হওয়ার এবং কিডনী নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

২। ধূমপান

ধূমপান ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডের সরাসরি ক্ষতির সাথে সম্পর্কিত। কিডনির উপরও ধূমপান নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। ধূমপান করলে প্রস্রাবের সাথে প্রোটিন বের হয়ে যায়। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

৩। অ্যালকোহল পান

অ্যালকোহল পান কিনডীর জন্য ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে দীর্ঘমেয়াদী কিডনী রোগ হয়। এছাড়া তামাক এবং অ্যালকোহলের সমন্বয় কিডনী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ বৃদ্ধি পায়।

৪। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া

প্রাণিজ প্রোটিন উচ্চমাত্রার এসিড উৎপন্ন করে যা কিডনির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই সমস্যাকে এসিডোসিস বলে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া কমিয়ে দিয়ে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিত।

৫। প্রক্রিয়াজাত খাবার

ফসফরাস এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে প্রক্রিয়াজাত খাবারে। আর এগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর।

৬। ঘুম কম হওয়া

অনেক কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে আমাদের শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না। পরবর্তী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে একজন মানুষের ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। আর কম ঘুমের কারণে কিডনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৭। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া

লবণ সোডিয়ামে পরিপূর্ণ এবং উচ্চমাত্রার সোডিয়াম গ্রহণ করলে রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্ত পরিশোধন তখন অকার্যকর হয়ে যায় এবং ক্রমান্বয়ে কিডনীর ক্ষতি হয়।

৮। চিনি বেশি খাওয়া

চিনি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এটা আমরা সবাই জানি। চিনি কিডনীর কাজের উপরও সরাসরি প্রভাব ফেলে।

৯। ব্যায়াম না করা

ব্যায়ামের ইতিবাচক প্রভাব আছে স্বাস্থ্যের উপর। প্রতিটি অঙ্গকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে ব্যায়াম। বিপাক এবং কর্ম শক্তি বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ব্যায়াম কিডনীর কাজেরও উন্নতিতে সাহায্য করে।

১০। প্রস্রাব আটকে রাখা

অনেকেই প্রস্রাবের বেগকে আটকে রাখেন কোনো কাজের কারণে বা কোনো সমস্যার  কারণে। এর ফলে কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।