ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আজ শুভ বড়দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

আজ ‘বড়দিন’। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বিদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব। এদিন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেন। পবিত্র নগরী বেথেলহেমে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বরের বাণী মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এবং মানব সমাজকে ঈশ্বরের কৃপায় নিয়ে আসতে জন্ম হয় যীশু খ্রিস্টের। মানব জাতিকে পাপ মুক্ত করা এবং সঠিক পথে পরিচালনা করাই ছিল খ্রিস্টের মূল উদ্দেশ্য।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা আজ আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্যাপন করবে। বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার।

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যিশুখ্রিস্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারী। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যিশুখ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।’

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশের গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলগুলোতেও সান্তা ক্লজ, ক্রিসমাস ট্রি ও আলোকসজ্জায় বড়দিনের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি বসবে ধর্মীয় গানের আসর। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনেকে বড়দিনকে বেছে নেয়। তবে এবার করোনার কারণে দিনটি পালন করতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।

এদিকে শুভ বড়দিন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে উদ্যাপনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে উন্মুক্ত স্থান বা বাড়ির ছাদে গান-বাজনা, আতশবাজি ও ডিজে পার্টি। চার্চগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
এসএ/