সিরাজগঞ্জের চলনবিলে স্বল্প খরচে ভুট্টার আবাদ
প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ২৩ মে ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪৩ পিএম, ২৩ মে ২০১৭ মঙ্গলবার

স্বল্প খরচে অর্থকরী ফসল ভুট্টার আবাদ সিরাজগঞ্জের চলনবিল অঞ্চলের কৃষকদের উৎসাহে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। ধান চাষের চেয়ে কম পরিশ্রমের পাশাপাশি তুলনামুলক দ্বিগুন লাভ হওয়ায় ফসলের মাঠ দখল করে নিচ্ছে লালচে-হলুদ থোকা থোকা ভুট্টা। আর দাম বেশ হওয়ায় অর্থকরী ফসল হিসেবে ভুট্টা আশার আলোও জাগিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের শস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা এবং নওগাঁ জেলার বিস্তীর্ন চলনবিল অঞ্চলের ৯ উপজেলায় দীর্ঘ দিন ধরে ধান আবাদ হয়ে আসছে। তবে ধান চাষে একদিকে পরিশ্রম বেশি, অন্যদিকে লাভ কম। তাই এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন।
সিরাজগঞ্জের শুধু তাড়াশ উপজেলাতেই বিনা চাষে ১৩শ হেক্টর ও ১৪০ হেক্টর জমিতে চাষের মাধ্যমে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ৫/৬ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচে ধানের চেয়ে দ্বিগুন লাভে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি।
জমি থেকে সংগ্রহ করা ভুট্টা গোলায় তুলতে চলছে রোদে শুকানোসহ নানা প্রক্রিয়ায় মাড়াই কাজ। এসব ভুট্টা মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা দরে।
ভুট্টার পর বোনা আমন চাষের সুবিধা থাকায় কৃষকেরা পরামর্শ নিয়ে সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছেন বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা।
এক ফসলী ধানের পাশাপাশি বছর ভেদে ভুট্টা, রসুন, ডাল চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হলে চলনবিলের মাটির উর্বরতা হ্রাস ঠেকাতে তা ভুমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।