ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো : হানিফ সংকেত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:২৯ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ শনিবার

চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুল কাদের। নাটকের বাইরে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন হানিফ সংকেতের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে। দীর্ঘ তিন দশক এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিনের মামা-ভাগ্নে পর্বে অভিনয় করেছেন ‘বদি’খ্যাত এই তারকা।

সবশেষ আব্দুল কাদের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ‘ইত্যাদি’র শুটিংয়ে, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে। আজ হঠাৎ এমন চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক হানিফ সংকেতের।  

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হানিফ সংকেত বলেন, ‘আমাদের জন্য খুবই কষ্টের খবর। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। অক্টোবরের মাঝামাঝি সর্বশেষ তিনি ‘ইত্যাদি’র শুট করেছিলেন। সে সময় তাঁকে খুব অসুস্থ দেখেছি। আমি তাঁকে বললাম, কী হয়েছে? উনি বললেন, ‘না, কিছু না; কিছু হয়নি।’  

শেষে আমাকে বলেন, ‘আমার শরীরটা ভালো না, দোয়া করবেন।’ আমরা তাঁর শট একটা-একটা করে বসিয়ে নিয়েছি। যাঁরা পর্বটা দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

হানিফ সংকেত আরো বলেন, ‘কাদের ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের প্রায় তিন দশকের সম্পর্ক। উনি অত্যন্ত শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন করতেন। দীর্ঘ তিন দশক তিনি আমাদের মামা-ভাগ্নে পর্বটা করেছেন এবং তিনি খুব জনপ্রিয়। ভাবি কিছুদিন আগে আমাকে বলেছিলেন, আমরা তাঁকে মানা করেছি, অসুস্থতা ও করোনার মধ্যে ‘ইত্যাদি’ না করতে। কিন্তু উনি বলেছেন, ‘না আমি ইত্যাদি করবোই।’ তিনি শিডিউলমতো আসতেন, সময় নষ্ট করতেন না।’

আব্দুল কাদেরের সঙ্গে শেষ কথা প্রসঙ্গে হানিফ সংকেত বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি যখন চেন্নাই গেলেন। দেশে ফিরেও বিমানবন্দরে নেমে কথা হয়েছে ভিডিও-কলে। অনেক কান্না করলেন। আমাকে বললেন, ‘হানিফ ভাই, জানি না আপনার সঙ্গে আর দেখা হবে কি না। দোয়া করবেন যেন দেখা হয়।’

আব্দুল কাদেরের চলে যাওয়া অনেক বড় ক্ষতি উল্লেখ করে হানিফ সংকেত বলেন, ‘অন্যদের কী হয়েছে জানি না, তিনি আমাদের পরিবারের একজন। কাদের ভাই চলে যাওয়া মানে আমাদের পরিবারের একজন চলে যাওয়া।’

উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরেণ্য এ অভিনেতা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এসএ/