ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

আজ সৈয়দ শামসুল হকের ৮৬তম জন্মদিন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৩ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ রবিবার

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রবাদ পুরুষ সব্যসাচি লেখক সৈয়দ শামসুল হক। সৈয়দ হক নামেই তিনি বেশি পরিচিত। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প আর অনুবাদে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি আর মুক্তিযুদ্ধ তার রচনার অন্যতম প্রধান অনুসঙ্গ। ৬২ বছরের লেখক জীবনে সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননাসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি অনন্তে যাত্রা করেন। প্রখ্যাত এই সাহিত্যিকের আজ ৮৬তম জন্মদিন।

বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ধূমকেতুর মতো আগমন বাংলা ভাষার অন্যতম শক্তিমান কবি-গীতিকার, নাট্যকার ও উপন্যাসিক সৈয়দ শামসুল হকের। ১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কুড়িগ্রামেই মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‘দেয়ালের দেশ’ দিয়ে লেখা শুরু। ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন সৈয়দ হক। এরপর একে একে লিখতে থাকেন কালজয়ী সব সৃষ্টিসম্ভার। নিষিদ্ধ লোবান, গণনায়ক তার জীবন ঘনিষ্ঠ সাহিত্য কর্ম। কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে লেখেন নূরুল দীনের সারাজীবন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। জীবন এবং শিল্প আবর্তিত হয় তার সৃজিত পরানের গহীণ ভিতর কিংবা খেলারাম খেলে যা সহ অজস্র রচনায়। এইসব সৃজন তাকে নিয়ে যায় জনপ্রিয়তার র্শীষে। তিনি হয়ে উঠেন বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ম্যাকবেথ, টেম্পেস্ট ছাড়াও বিশ্বসাহিত্যের নানা ধারা অনুবাদ করেছেন তিনি। তার বেশ কিছু নাটক নতুনমাত্রা দিয়েছে ঢাকার মঞ্চে। সব্যসাচি সৈয়দ হক রচনা করেছেন সিনেমার চিত্রনাট্য এবং গান।

সৈয়দ হকের রচনায় চিত্রিত হয়েছে সমসাময়িক বাংলাদেশ এবং মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি। নারীগণ, যুদ্ধ এবং যোদ্ধা, ঈর্ষায় তিনি তুলে এনেছেন সমাজের বাস্তবতা। ভাষা-সংস্কৃতি মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের প্রশ্নে তিনি ছিলেন সোচ্চার। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ তার অনবদ্য বিস্ময়।

সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিলে তাকে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। ৪ মাস চিকিৎসাধীন থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনন্তে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তিতুল্য লেখক।
 
ভিডিও-

এএইচ/