ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ৫ জানুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

দেশবরেণ্য শিল্পোদ্যোক্তা ও স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের আড়ূকাকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। ভারতে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় স্কয়ারের যাত্রা।

সততা, নিষ্ঠা, শ্রম, মেধা, শৃঙ্খলা ও মনোবলকে পুঁজি করে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছেন প্রথিতযশা এ উদ্যোক্তা। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। সেই সুবাদে ওষুধ তৈরির প্রতি তার আগ্রহ ছিল প্রচুর। লেখাপড়া শেষ করে কিছুদিন সরকারি চাকরি করেছেন। সেটা ভালো না লাগায় বাবার কাছ থেকে অল্প কিছু টাকা নিয়ে পাবনায় একটি ফার্মেসি খোলেন। আস্তে আস্তে সেটি প্রসারিত হতে থাকে। ওষুধ বিক্রি করতে করতেই হঠাৎ একদিন মাথায় চিন্তা এলো ওষুধ তৈরির। যেই ভাবা সেই কাজ। এর পর চার বন্ধু একসঙ্গে শুরু করলেন ওষুধ তৈরির কাজ। পুঁজি মাত্র ২০ হাজার টাকা। এভাবেই শুরু স্কয়ার ফার্মার, যা এখন বিশাল শিল্প গ্রুপে পরিণত হয়েছে।

নিজের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি এমসিসিআইর সভাপতি, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, আইসিসিবির সহ-সভাপতিসহ অনেক সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও মাইডাসের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন বিশিষ্ট এ শিল্পোদ্যোক্তা। এ ছাড়া দেশি ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

করোনা মহামারির কারণে এবার তেমন কর্মসূচি রাখা না হলেও আজ পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনার এস্ট্রাস খামারবাড়িতে প্রার্থনা সভা এবং পাবনা প্রেস ক্লাব স্মরণসভার আয়োজন করেছে।
এসএ/