জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ২৫ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:০৬ এএম, ২৫ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার

আজ এগারোই জৈষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। দ্রোহ, প্রেম আর সাম্য দিয়ে বাঙ্গালি জাতি সত্ত্বার সাথে জড়িয়ে আছেন কাজী নজরুল। মানবতা আর অসাম্প্রদায়িকতার সংগ্রামে গড়েন বিদ্রোহের দূর্গ। সব মত-পথ এবং ধর্মের বিভেদে ভুলে করে গেছেন মুক্তির সংগ্রাম। জাতীয় কবির মর্যাদায় সিক্ত এ কবি সাহিত্যের উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন বাংলার অবহেলিত মানুষের জীবন থেকে।
প্রেম আর দ্রোহের মেলবন্ধনে অনন্য কাজী নজরুল ইসলাম। সৃষ্টির সুখ দিয়ে তিনি উল্লাস করেছেন আর মানুষকে ভাসিয়েছেন আনন্দসাগরে। শেকল ভাঙ্গার গান শুনিয়েছিলেন পরাধীন
বর্ধমানের চুরুলিয়ায় ১৩০৬ বঙ্গাব্দে দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মেছিলেন নজরুল। পারিবারিক পরিমন্ডলেই শুরু হয় তার সাহিত্য আর গান।
তবে অভাব-অনটন ছেলেবেলায়ই নজরুলকে ঠেলে দিয়েছিলো জীবীকার পথে, ময়মসিংহের দরিরামপুরে এসে দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করেই এগিয়েছেন; বঞ্চিতদের জন্য অগ্নিবীণা বাজিয়ে গেয়েছেন মানবতার গান।
যোগ দিয়েছিলেন লেটো গানের দলে। এখান থেকে গড়ে ওঠা হিন্দু সংস্কৃতির সঙ্গে নিবীড় যোগাযোগ তাকে উদ্ধুদ্ধ করে আসম্প্রদায়িক চেতনায়; পরবর্তীতে বিদ্রোহে।
বিপ্লাবিক রোমাঞ্চে উদ্ভুদ্ধ হয়ে যোগ দেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে ছাড়েন সেনাবাহিনী। গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনেও যোগ দেন নজরুল, যার বিস্ফোরন ১৯২১ সালের বিদ্রোহ। নবযুগ পত্রিকার হাত ধরে শুরু হয় সাহিত্য ও সাংবাদিকতার চর্চা।
সুন্দরের প্রতি সহজাত কবি নজরুল আজীবন প্রেমে আগ্রহী ছিলেন। তাইতো সুন্দরের প্রশংসায় সৃষ্টি হয়েছে তার কবিতা ও গান।
শুধু প্রেম বা ভালোবাস নয় নজরুল হয়ে উঠেছিলেন সাম্যবাদী, শুনিয়েছেন সাম্যের গান।
জাতীয় কবির জীবন দর্শন সঠিকভাবে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তরুন সমাজকে উদ্দুদ্ধ করার আহবান নজরুল প্রেমীদের।
১৯৪২ সালে এ সাম্যবাদী লেখক হয়ে যান বাকরুদ্ধো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বাংলাদেশে এনে মর্যাদা দেন জাতীয় কবির। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ই ভাদ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন মানব প্রেমের এই কবি।