ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ আগস্ট ২০২৫,   শ্রাবণ ২৩ ১৪৩২

সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কিভাবে বিচারপতি অপসারণ?

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ২৫ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ২৫ মে ২০১৭ বৃহস্পতিবার

সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কিভাবে বিচারপতি অপসারণ করা হবে? -এমন প্রশ্ন রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এমন প্রশ্ন তোলেন সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন করাসহ বিভিন্ন মত তুলে ধরেন এ্যামিকাস কিউরিরা। পরে শুনানী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। 

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানির ৭ম দিনে এ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী রোকন উদ্দীন মাহমুদ, টি এইচ খান ও এম আমীর-উল ইসলাম।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির বেঞ্চ এ্যামিকাস কিউরিদের রোকনউদ্দিন মাহমুদ বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সিভিল সার্ভিস, পুলিশ, সচিবদের অপসারণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ করেন, সেনা সদস্যদেরও ডিসিপ্লিনারি আছে। তাহলে বিচারপতিতের বিষয়টা সংসদে কেন যাবে, এমন প্রশ্ন রাখেন।
রোকনউদ্দীন মাহমুদের শুনানীর সময় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কিভাবে বিচারপতি অপসারণ করা হবে- এমন প্রশ্ন করেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

অপর এ্যামিকাস কিউরি এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ভারত, শ্রীলংকাসহ বিভিন্ন দেশে বিচারকদের ইমপিচমিন্টের ক্ষমতা পার্লামেন্টে রাখায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেক দেশই বিচারকের অপসারনের ক্ষমতা পার্লামেন্টের হাতে রাখা থেকে সরে এসেছে বলেও জানান তিনি।
আরেক এ্যামিকাস কিউরি টিএইচ খান তার মতামতে হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন জানিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল রাখার পক্ষে মত দেন।
উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।