ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

২৬ খাল উদ্ধারে নেমেছে ঢাকার দুই সিটি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২১ বুধবার

ওয়াসার কাছ থেকে রাজধানীর ২৬টি খালের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উদ্ধারে নেমেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। দখল-দূষণে জর্জরিত সবগুলো খালেরই বেহাল দশা। প্রাথমিকভাবে ওয়াসার জনবল দিয়েই খাল উদ্ধার ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, জলাবদ্ধতামুক্ত নগরী উপহার দেয়াই এখন সিটি করপোরেশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

১৯৮৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে ঢাকার ড্রেনেজ সিস্টেম ও খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পায় ঢাকা ওয়াসা। সেই থেকে ২৬টি খালও ছিল তাদের দায়িত্বে। 

তবে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাপে খালের সংখ্যা ৫০টিরও বেশি। এর মধ্যে নলি খাল, দ্বিগুণ খাল, কল্যাণপুর খাল, মেরুল, ডুমনী-কাঁঠালদিয়া, কামরাঙ্গীরচর খাল, বেগুনবাড়ী খাল, মহাখালী খাল, গুলশান খাল, গুল্লার খাল ও হাইক্কার খাল অন্যতম।

দিনে দিনে দখল-দূষণে হারিয়ে গেছে অনেক খাল। তাই নগরীতে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যে কারণে স্ট্রম ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বার বার। 

এতোদিন ওয়াসার কাছে থাকা ২৬টি খাল ঘুরে দেখা যায় কোথাও হয়েছে রিকশার গ্যারেজ, কোথাও গড়ে উঠেছে দোকান। কোথাও আবার বিশাল দালান।

দূষণে বিষিয়ে ওঠা অনেক খালের পানি। দুর্গন্ধে দম নেয়াই যেনো দায়। তবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

ডিএসসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, আমাদের সম্পত্তি বিভাগ সীমানা নির্ধারণ করবে, ম্যাজিস্ট্রেটরা সেখানে যাবে, আমাদের সার্ভেয়াররা সিএস-আরএস-পর্চা দেখে অরিজিন্যাল খালের সীমানা চিহ্নিত করবে। তারপর আমরা অবৈধ স্থাপনাপনাগুলো উচ্ছেদ করবো।

বর্ষায় যাতে রাজধানীর সড়ক আর না ডোবে সে বিষয়ে দুই সিটি করপোরেশনই কাজ করছে বলে জানালেন উত্তর সিটির মেয়র।

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোন খালের পুরোপুরি সবই দখল হয়েছে, কোন খালের কিছু অংশ দখল হয়েছে, কোন খাল দখলমুক্ত আছে কিন্তু ময়লা জমে এটা শেষ হয়ে গেছে। কাজেই একেকটা খালের চরিত্র দেখেই প্রত্যেকটা খালের জন্য আলাদা করে ফাইল খুলতে বলেছি আমি। ডিফ্রেন্ড ধরনের ট্রিটমেন্ট হবে এখানে।

সমন্বিতভাবে কাজ হলে সাফল্য আসবে বলে জানান ওয়াসার এমডি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, সিটি কর্পোরেশন একটা টোট্যাল মাস্টারপ্ল্যান করে, একটি হলিস্টিক অ্যাপ্রোজ নিয়ে সমগ্র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাকে আনবে এবং সেইভাবে ব্যবস্থা করলে নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে ভালো হওয়া উচিত।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ২৬টি খাল উদ্ধারের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাপ অনুযায়ী বাকী খালগুলো উদ্ধার করতে চায় দুই সিটি করপোরেশন।
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/