ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দেশে চালু হলো প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান ক্রুজ’ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার

আজ থেকে চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে চালু হলো নিয়মিত মেরিটাইম ট্যুরিজম। পর্যটনের এই উপ-খাতের অন্যতম পথপ্রদর্শক প্রমোদতরী ‘বে ওয়ান ক্রুজ’। সপ্তাহে তিনদিন সাগরযাত্রা করবে এই জাহাজ। উদ্যোক্তারা বলছেন, এটি মেরিটাইম ট্যুরিজমের সূচনা মাত্র। এ উপ-খাতের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। মেরিটাইম ট্যুরিজম একদিন জাতীয় অর্থনীতিতেও ভালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা তাদের।

মেরিটাইম ট্যুরিজম বাংলাদেশের একটি অনুদঘাটিত উপ-খাত। তবে বিকশিত হচ্ছে ধীরে ধীরে। শীতকালীন ওয়ানডে ক্রুজের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে একটু দীর্ঘ সাগরযাত্রা। পর্যটকবাহী জাহাজ যাবে চট্টগ্রাম থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে।

মেরিটাইম ট্যুরিজমের অন্যতম অগ্রদূত বিলাসবহুল জাহাজ ‘বে ওয়ান ক্রুজ’। ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপান থেকে জাহাজটি আমদানি করেছে কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এই প্রমোদতরীটিতে যাত্রীদের জন্য রয়েছে রাতযাপনের ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজন। 

চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিনে যাতায়াত করতে সর্বনিম্ন ভাড়া ৩ হাজার টাকা। ৭ তলা জাহাজের অন্যতম আকর্ষণ ভিভিআইপি কেবিন। ভাড়া ৫০ হাজার টাকা।

বে ওয়ান ক্রুজ শিপের ডেক ইনচার্জ কাজী এনামুল হক বলেন, এটার মধ্যে ইকোনমি চেয়ার, বিজনেস চেয়ার, বাঙ্কার, প্রেসিডেন্টিয়াল স্যুইট, রয়েল স্যুইট, কেবিন এবং আরও রয়েছে ভিভিপিআই কেবিন। ক্রুজের মোট ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ২শ’ জন।

ঘন্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল বেগে চলা এই জাহাজটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য প্রতিকূল আবহাওয়ার ভেতরেও সমুদ্রে নিরাপদে টিকে থাকার সক্ষমতা। বিপদ সংকেত ৬ পর্যন্ত জাহাজটি যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে জানান ক্যাপ্টেন। 

ক্যাপ্টেন আলমগীর কবির বলেন, যেহেতু এই জাহাজটিতে ফিন এস্টেবেলাইজার লাগানো আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্য কোন জাহাজে ফিন এস্টেবেলাইজার লাগানো নেই। যত বেশি রোল হোক না কেন এটা নির্দিষ্ট এঙ্গেলে রোল করবে।

মেরিটাইম ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে আন্দামান, পাতায়াসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে বে ওয়ান ক্রুজ শিপের। 

শিপটির সিইও ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ (অব.) জানান, অনেক লোকজন চাকরি পাবে। এই জাহাজেই ইতিমধ্যে আমরা ১ থেকে দেড় লোক নিয়োগ দিয়েছি। আমাদের ব্যবস্থাপনায় আরও পরিকল্পনা আছে, আরও দুই/তিনটি জাহাজ দেখে রেখেছি, সেগুলোও নিয়ে আসবো।

বে ওয়ান দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করেন জাহাজ মালিক।

কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ রশিদ বলেন, এগুলো দেশের উন্নয়ন, পূর্বে এগুলো ছিল না। সুতরাং এগুলোর সাথে নতুন কিছু সংযোগ প্রয়োজন। আমরা এই জাহাজটিকে দেশবাসীকে উপহার দিলাম।

প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে তিন দিন চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচল করবে এই বে ওয়ান। যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকবে ২শ’ ক্রু।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/