ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

পুঁজিবাজারকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে সারাদেশে। এ লক্ষ্যে ব্রোকারেজ হাউজের শাখা খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়াতে বুথ খোলা হচ্ছে দেশের বাইরেও। তবে এ উদ্দেশ্য সফলে স্টক এক্সচেঞ্জের পূর্ণ অটোমেশন এবং এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ বাজার সংশ্লিষ্টদের।

পুঁজিবাজারে আসছে নতুন নতুন কোম্পানি, বাড়ছে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা। লেনদেনেও ফিরেছে গতি। তবে বিনিয়োগের সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত দেশের বেশিরভাগ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাজারকে শহরকেন্দ্রিক না রেখে সারাদেশেই ছড়িয়ে দিতে চায় বিএসইসি।

শুধু সারাদেশই নয়, বিদেশেও খোলা হচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজের বুথ। এরই মধ্যে ইউসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট দুবাইতে এবং পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ কানাডায় বুথ খোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিনিয়োগ আকর্ষণে বিএসইসির এসব উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। 

গ্রীনল্যান্ড ইক্যুইটিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাজিব এহসান বলেন, প্রথম পদক্ষেপ হবে প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়ানো, দ্বিতীয়ত ভালো কোম্পানিগুলো যদি এখানে তালিকাভুক্ত করা যায় তাহলে শুধু বিদেশী নয় বিদেশী ইনিস্টিটিউশন ইনভেস্টরদেরও এই মার্কেটে আনতে পারবো। কিন্তু তার আগে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বিশেষ করে আইটি ক্যাপাসিটি। 

এদিকে, দেশ-বিদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করার এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ দৈনিক লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে গেলেই বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেমে। এতে লোকসানে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা, চাইছেন ক্ষতিপূরণ। 

তবে দেশের বাইরে ব্রোকারেজ হাউজের বুথ খোলার বিষয়ে কাজ করছে বিএসইসি। এজন্য তৈরি হচ্ছে নীতিমালা।  

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, তাদেরকে আরও কিছু অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে, যা কেউ কেউ পেয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেরও একধরনেরও অনুমতি প্রয়োজন হবে, তারা সেগুলো পাচ্ছে। 

পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ ও স্থিতিশীলতায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নেয়া উদ্যোগগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিতে স্টক এক্সচেঞ্জকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলে মত বাজার সংশ্লিষ্টদের।

বিএসইসি কমিশনার আরও বলেন, এগুলোর হার্ডওয়ার-সফটওয়্যার কেনার বিষয় যাছে। যেগুলো তারা ব্যবহার করছে সেগুলো অনেক পুরনো জিনিস। আগামীতে যে শেয়ারবাজার বা মূলধন দেখার চেষ্টা করছি, সেটাতে এই পুরনো জিনিস কাজে আসবে না। 

ভিডিও-

এএইচ/