ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

লালপুরে উদ্ধারকৃত নারীদেহের পরিচয়সহ ঘাতক গ্রেফতার

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ রবিবার

নাটোরের লালপুরে রেল লাইনের ধার থেকে অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের তিনদিন পর নিহতের পরিচয় উদঘাটনসহ হত্যা জড়িত স্বামী আনছের শেখকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৩ জানুয়ারী লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

হত্যাকারী স্বামী আনছের শেখকে গত ১৬ জানুয়ারী নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আনছের শেখ পাবনা জেলার চকবারেরা গ্রামের মৃত ভানু শেখের ছেলে। আজ রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১৩ জানুয়ারী লালপুর উপজেলার সাদিপুর গ্রামের রেল লাইনের পাশে অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এরপর তার সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও লালপুর থানা পুলিশসহ জেলার চৌকস অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত তিনটি টিম রহস্য উদঘাটনের জন্য মানিকগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও পাবনায় ব্যাপক অভিযান চালায়। 

এসময় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শম্পা খাতুন (২৫) নামে নিহত ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করা হয়। এরপর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একটানা ৪ দিন অভিযান চালিয়ে গত ১৬ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নিহতের স্বামী আনছের শেখকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে নিহত শম্পার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত আনছের শেখ পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, প্রায় দুই বছর আগে রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে শম্পা খাতুনের সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর তারা নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিল। ঘটনার দিন ১৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় তাদের দুজনার মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে শম্পা ওই বাসা থেকে রাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়। আনছেরও তার পিছু নেয় এবং উপজেলার সাদিপুর গ্রামে জনৈক মোঃ রনজিত আলীর জমির ধারে রেল লাইনের পাশে বসে তারা কথা বলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে আনছের শেখ উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী শম্পাকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং শম্পার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

এনএস/