ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

রাজধানীর আশপাশে বন্ধ করা হয়েছে ৫৯টি অবৈধ ইটভাটা (ভিডিও)

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার

রাজধানীসহ আশপাশের ৫ জেলার ৫৯টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। জরিমানা করা হয়েছে এক কোটি ৭৮ লাখ টাকা। শুধু গাজীপুরেই বন্ধ করা হয়েছে ৩৪টি অবৈধ ভাটা। হাইকোর্টে দেয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

চলছে অবৈধ ইটভাটা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জনজীবন। নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র। 

ভুক্তভোগীরা জানান, ইটভাটার কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, গাছপালা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

যদিও পরিবেশ অধিদপ্তরের গাজীপুর অফিস বলছে, সিটি করপোরেশন এলাকায় নেই কোন অবৈধ ইটভাটা। 

গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল সালাম সরকার বলেন, অবস্থানগত কারণে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।

রাজধানীতে শুষ্ক মওসুমে বায়ু দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। যেখানে ইটভাটা বায়ু দূষণের বড় উৎস। বিভিন্ন গবেষণায়ও উঠে এসেছে রাজধানীর পরিবেশ দূষণের এক নম্বর কারণ হলো ইটভাটা।

এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর বায়ু দূষণ রুখতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। 

রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, এটি হচ্ছে ইটভাটার মওসুম। এই মওসুমে লাখ লাখ টাকা উপার্জনের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে ইটভাটা বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের কার্যক্রমকে কিছু নিরব করছে। এই কারণেই আদালতের নির্দেশের পরে অনেক জায়গায় কাজ হচ্ছে না।

হাইকোর্টের নির্দেশে পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। গাজীপুরে ৩৪টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। জরিমানা আদায় হয়েছে ৬২ লাখ টাকা।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ মাহমুদ বাশার জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫৯টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জরিমানা হিসেবে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে ১১, মুন্সীগঞ্জে ৮টি আর ঢাকায় ৬টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি বলে জানায় পরিবেশ অধিদপ্তর। 
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/